Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টানা শৈত্য প্রবাহে ও হিমেল হাওয়ায় অচল জীবনযাত্রা

দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা যশোরে ৬ ডিগ্রিসেলসিয়াস

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


টানা শৈত্য প্রবাহে ও হিমেল হাওয়ায় অচল জীবনযাত্রা
ইনকিলাব ডেস্ক : টানা শৈত্য প্রবাহে ও হিমেল হাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। শীতে কাতর মানুষগুলি গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টকর সময় পার করছে । দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা গতকাল বৃহস্পতিবার রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৬ ডিগ্রিসেলসিয়াস। সারাদেশে সকাল থেকে সূর্যের দেখা না মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য জানান দেয় তার উপস্থিতি। দিন যতো যাবে ততো তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো.আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। প্রতিদিনই উন্নতি হচ্ছে তাপমাত্রার।’
তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকেই সারাদেশে তাপমাত্রার উন্নতি হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এভাবে দিন যতো যাবো ততো তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে সাতক্ষীরায় ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রিসেলসিয়াস তাপমাত্রা। শীতের জেলা রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রিসেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় বিরাজ করছে ১১দশমিক ৮ ডিগ্রিসেলসিয়াস।
ফলে প্রনিনিয়ত শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। ভাইরাসজনিত রোগ, ডায়রিয়া, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে তীব্র শীতের মধ্যে হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেকের ঠাঁই হচ্ছে বারান্দার মেঝেতে। রোগীর সাথে সাথে দুর্ভোগ পোহোচ্ছে রোগীর স্বজনরাও। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা যায়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দমমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্রশীত ও হিম ঠান্ডার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কৃষি জমিতেও পরছে বিরুপ প্রভাব। টানা শৈতপ্রবাহে বোরো বীজতলা নিয়ে আশংকায় আছে কৃষকরা। এভাবে আরো কয়েকদিন চলতে থাকলে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আব্দুর রশীদ। জেলার গ্রামঞ্চলের ও চরের লোকজন শীতে কাবু হয়ে পরেছে। মোটা কাপড়েও ঠেকানো যাচ্ছে না শীত। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পরেছে। এখনো শীতার্ত মানুষের পাশে তেমনভাবে দাঁড়ায়নি সহযোগী সংগঠনগুলো। ফলে দরিদ্র মানুষ খড়কুটো জ¦ালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান জানান, আমরা প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র পাঠনোর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের মন্ত্রণালয়ে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র মজুদ রয়েছে। আমরা পর্যক্ষেণ করছি। মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায় সেজন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ