পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে জনগণ আবারো ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার ক্যলাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
গতকাল বৃহষ্পতিবার রাজধানীর মিটফোর্ডে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা আছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী লড়াইযের জন্য প্রস্তুত। সমান মাঠেই খেলা হবে। নির্বাচন কমিশন রেফারির দায়িত্ব পালন করবে। সব দলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচনী মাঠ থেকে গতবার পালিয়ে গেছেন। দয়া করে এবার পালাবেন না। ভীরু ও কাপুরুষরাই মাঠ ছেড়ে আমরা সবাইকে নিয়ে খেলতে চাই।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়। অযথা আন্দোলন, জ্বালাও-পোড়াও চায় না। ২০১৪ সালে নির্বাচন না হলে দেশে বিশৃংখলার সৃষ্টি হতো। এবছরের নির্বাচনও সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ভারতসহ সারা বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের ৯ বছরের উন্নয়ন দেখেছে। তাই আর জনগণ আগুন সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে উন্নয়নের বাহক আওয়ামী লীগকেই ভোট দিবে।
ভেজাল ও নকল ওষুধের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সৎ ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে চায়। অসাধুদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নকল ও ভেজালের সাথে কোন আপোষ করবে না সরকার। তাই নকল ও ভেজাল ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানা বন্ধ করছে সরকার। আগামী চার মাসের মধ্যে সারাদেশে প্রকৃত ওষুধের দোকানের লাইনেন্স যাচাই বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, যেসব দোকানে মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোকে সীলগালা করে দেওয়া হচ্ছে। ভেজালের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানকে সফল করতে ড্রাগিস্টস ও কেমিস্টস সমিতির সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনগণের ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার দেশে মডেল ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ জেলায় ৩০০ মডেল ফার্মেসি চালু হয়েছে। ২৪ ঘন্টা বিশেষজ্ঞ ফার্মাসিস্টের সেবাসহ এসব ফার্মেসিতে মানুষ মানসম্মত ওষুধ পাবে বলে এগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়বে।
সমিতির সভাপতি সাদেকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মে. জে. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সহ সভাপতি এম মোসাদ্দেক হোসেন, এফবিসিসিআই এর পরিচালক বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার আগে মন্ত্রী মিটফোর্ডে আলিফ-লাম- মীম ফার্মা মডেল ফার্মেসির উদ্বোধন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।