পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র সাধারণ ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নিবাচন কমিশন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ জানুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২১ ও ২২ জানুয়ারি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ জানুয়ারি। এবং আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ তফসিল ঘোষণা করেন। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনার, সচিব ও ভারপ্রাপ্ত সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নতুন ১৮টি করে সাধারণ ওয়ার্ড এবং ছয়টি করে সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ডিএনসিসিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠিত হবে যা আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ইসির পক্ষ থেকে। তফসিল ঘোষণা করে সিইসি বলেন, ঢাকা উত্তরের নতুন মেয়র এবং ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদ হবে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত। ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে এই মেয়াদ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত, আর দক্ষিণে ওই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত। কে এম নুরুল হুদা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা আপোসহীন। এই নির্বাচন একটি বড় নির্বাচন, তাই এই নির্বাচনকে গুরুত্ব সহকারে দেখছি আমরা। সিইসি বলেন, আমরা দুই সিটি করপোরেশনের দুটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা করছি। এ বিষয়ে যাচাই-বছাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করব। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সিইসি বলেন, সবাই নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আমি সবাইকে আহŸান জানাবো, সবাই ভোটকেন্দ্রে আসুন, ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।
ডিএনসিসির নির্বাচনে খালেদার জিয়ার প্রচারে কোনো বাধা নেই : সিইসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারণায় অংশ নিতে আইনি কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে নতুন ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। আড়াই বছর আগে ঢাকা সিটির ভোটের সময় খালেদা গাড়িবহর নিয়ে প্রচারণায় নেমে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার খালেদা জিয়ার প্রচারে কোনো বাধা আসবে কি নাÑ জানতে চাইলে সিইসি বলেন, প্রতিবন্ধকতার প্রশ্নই উঠে না উনি (খালেদা জিয়া) বা উনার মতো কেউ প্রচারে গেলে কোনো বাধা দেয়া হবে না। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। নূরুল হুদা বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ দেব আমরা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোও যেন সহযোগিতা করে। গতবার নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধনের পর এবার দলীয় প্রতীকে লড়বেন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীরা। আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য এই মেয়র পদে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরেক ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলামকে প্রার্থী করা হচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রার্থী মনোনয়নের ভার দেয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। গতবার বিএনপির মেয়র প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল। আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১৮ জানুয়ারি। সিইসি বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে রাজধানীর এ ভোটটি আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ তো বটেই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, আমরাও এটাকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছি। এজন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমসহ সবার তৎপরতাও থাকবে বেশি। এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে কোনো ধরনের আপোস করবেন না তিনি। নূরুল হুদা বলেন, ঢাকা সিটির এ ভোট উৎসবমুখর হবে। ভোটকেন্দ্রে কোনো গণমাধ্যমকে বাধাও দেয়া হবে না। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা যেন নীতিমালা মেনেই কাজ করেÑ সেদিকে নজর রাখতে হবে। আগাম প্রচারণামূলক সামগ্রী নির্ধারিত সময়ে না সরানোয় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঢাকা উত্তরে নির্বাচন না হওয়ার যে গুঞ্জন রয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সিইসি বলেন, কেউ মামলা করলে তো তা নিয়ে ইসির করার কিছু নেই।
ঢাকা উত্তরের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে সেনা মোতায়েন চায় বিএনপি। গতকাল (মঙ্গলবার) এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অবশ্যই চাইব যে, এখানে যেন সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়। নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন চাই। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক কমিশনার মো. আব্দুল মজিদের জানাজা শেষে ঢাকা উত্তরের নির্বাচন নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার রাতে মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল মজিদ। ইন্নালিল্লাহে ও ইন্না ইলাইহির রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে মরহুম আব্দুল মজিদের কফিনে ফুল দেন বিএনপি মহাসচিব। পরে জানাজায় মির্জা ফখরুলসহ দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, রাজীব আহসানসহ মহানগরের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, মেয়র পদে নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবে। আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে জাতীয় স্থায়ী কমিটি সভায়। এই সভা আশা করছি, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার ২০ দলের এক সভায় জোটগতভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রার্থী ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে তাদের নেতা সেলিম উদ্দিনকে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে নেমেছিল। ২০ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি যে মনোনয়ন দেবেন, সেই মনোনয়নকে সমর্থন করবেন। আমার ধারণা, এ নিয়ে (জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা) কোনো সমস্যা হবে না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এক্ষেত্রে তারা আগের অবস্থানেই রয়েছেন। এই ইসি যে পদ্ধতিতে গঠন করা হয়েছে, সেই পদ্ধতি সঠিক ছিল না। সেখানে দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা কম এসেছেন এবং বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার দল নিরপেক্ষ নন। তবে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ইসি ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, যে, ইসি চেষ্টা করবে একটা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্যে, নির্বাচনের যে সমস্ত আইন আছে তা প্রয়োগ করবে এবং সম্পূর্ণ দল নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবে। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।