Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গাজীপুরে শিশুশ্রম
আইন করেও ঝুঁকিপূর্ণ নানা কাজে কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এই শিশু। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০টি শিশু শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আজকের শিশু আগামীর কান্ডারি। প্রশ্ন হলো, যদি এই শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয়, তাহলে আমরা কি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নষ্ট করছি না? মানুষের আইনি ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের ৯৯৯ কল সেন্টার চালুর দু›দিনের মাথায় গাজীপুর থেকে কল আসে প্রতিবন্ধী শিশুকে যৌন নির্যাতনের! এমন কত শিশু প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হয় তার অনেক খবরই হয়তো জনসমক্ষে আসে না। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরও তৎপর হতে হবে। সুশীল সমাজকে যুক্ত করে নিশ্চিত করতে হবে যেন শিশুশ্রম কাগজে-কলমে না, বাস্তবে বন্ধ হয়। ঝালাই, লেগুনার হেলপারি কিংবা নির্মাণ কাজে আজকাল শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যে বয়সে এসব শিশুর স্কুলে থাকার কথা সেই বয়সে জীবিকার খোঁজে নিরুপায় হয়ে কাজে যোগ দিচ্ছে। জাতি উদযাপন করছে বিজয়ের ৪৬তম বছর আর এই দিনেও শত সহস্র শিশু শ্রমিকের কাজ করছে, যা মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি শিশু তার অধিকার পাবে, কোনো শিশু শ্রমিক হবে না- এই হোক অঙ্গীকার।
সাব্বির হোসেন
শ্রীপুর, গাজীপুর


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্য
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৫ শতাংশ বৈশাখী ভাতা ও শতভাগ উৎসব ভাতা না দেওয়ায় আমরা বৈষম্যের শিকার। সরকারি শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন স্কেলের বৈষম্য না থাকলেও বিভিন্ন ভাতা বৈষম্য থাকায় সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। শিক্ষা দেশের চালিকাশক্তি- এ শক্তিকে গতিশীল রাখতে হলে শিক্ষকদের মাঝে বৈষম্য থাকা উচিত নয়। তাই সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঝে সব বৈষম্য দূর করা সময়ের দাবি। তাই তো একই সিলেবাস, পাঠ্যসূচি, ছুটি তালিকা, কর্মদিবস ও সময় থাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি করে আসছেন। সরকার সেদিকে খেয়াল না দিয়ে উল্টো উৎসব ভাতা দেওয়ার নামে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর কাছে হেয় করেছেন বলে মনে করছেন বৈষম্যের শিকার শিক্ষকরা। তাদের প্রশ্ন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অপরাধ কী? এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও সরকারি শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান সব বৈষম্য দূরীকরণে তথা সব শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণে ভূমিকা রাখবেন।
মো. মোশারফ হোসেন
সহকারী শিক্ষক,
বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, নকলা, শেরপুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন