পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপত্তা সহায়তা স্থগিতের পরও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দাবি করেছেন, এখনও একসঙ্গে কাজ করছে দুই দেশ। পাকিস্তান মার্কিন সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ের নীতির পক্ষে ভূমিকা নিলেই স্থগিতকৃত সহায়তা আবারও চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান ম্যাটিস।
ক’দিন আগে নববর্ষে শুভেচ্ছায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দেন। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে সেই সাহায্য বন্ধের ঘোষণা আসে। একদিনের মাথায় গতকাল শনিবার পেন্টাগনের বিবৃতিতে ম্যাটিস বললেন, ‘আমরা এখনও পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। পাকিস্তান ও আমাদের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ দৃঢ় পদক্ষেপ নিলেই স্থগিত সহায়তা আবারও চালু করা হবে।’ সমঝোতার সব পথ খোলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে চারদিক থেকে অবরুদ্ধ আফগানিস্তানে ১৬ বছর ধরে জারি রয়েছে মার্কিন আগ্রাসন। আফগান যুদ্ধে সামরিক সরবরাহ ও সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তান তাদের অপরিহার্য প্রবেশপথ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সতর্ক করেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলে আফগানিস্তানে আবারও সেনা পাঠানোর প্রচেষ্টা জটিল হয়ে উঠবে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ম্যাটিস পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও শঙ্কা তৈরি হয়নি। সাংবদিকদের তিনি বলেন, ‘না, এটা নিয়ে চিন্তিত নই আমরা।’ গত মাসে পাকিস্তান সফর করেছেন ম্যাটিস।
সহায়তা বন্ধের ঘোষণার পর পাকিস্তান কঠোর কথাবার্তার মধ্যেই তাদের প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রেখেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আচরণকে ‘প্রতারক বন্ধু’র মতো বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার এটাই সময়। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।