Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাড়ছে মাছের দাম, কমছে সবজির

| প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শুষ্ক মওসুমে জলাশয় শুকিয়ে আাসায় মাছের সরবরাহ কমছে। এর ফলে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রকারভেদে মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আরও কমে এসেছে সবজির দাম। আগের বাড়তি দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল, চিনি ও ডালসহ অন্যন্য নিত্য পন্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার, কাঠালবাগা, হাতিরপুল, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে অধিকাংশ সবজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে নতুন আলু। গত বছরের আলুর দাম ১৫ টাকার মধ্যে। বড় আকারের ফুলকপি প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হয়েছে বাধাকপি।
এ ছাড়া চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেপে ১৮ থেকে ২০ টাকা, শালগম ১৫ থেকে ২০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে গতকাল।
কয়েক সপ্তাহ বাড়তি দামে বিক্রি হলেও এবার ধীরে কমছে পেঁয়াজের দাম। গতকাল দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা ও আমদানি করা আদা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। রসুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
শীতের কারণে বাজারে মাছের সরবরাহ কমে আসছে। এর ফলে এদিন মাছের দাম প্রকারভেদে দশ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বড় আকারের রূপচাদা ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হযেছে। আগের সপ্তাহে একই মাছের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকা। মাঝারী আকারের রূপচাঁদার দাম ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে উঠেছে ৮০০ টাকায়। আগের সপ্তাহে ৬০০ টাকা কেজি দরে ছোট রূপচাঁদা বিক্রি হলেও শুক্রবার এর দাম উঠেছে ৭০০ টাকায়।
শুক্রবার আকারভেদে প্রতিকেজি চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা। আগের সপ্তাহে ৪৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় চিংড়ি বিক্রি হয়েছে। রুই ও কাতলা ২২০ থেকে ৩৫০ টাকয় বিক্রি হতে দেখা গেছে আগের সপ্তাহে একই মানের মাছ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া তেলাপিয়া ১২০ টাকা, চাষের কই ১৩০ টাকা, সিলভার কার্প ৯০ টাকা, পাবদা ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ টাকা, নলা ১২০ টাকা, স্বরপুটির ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আগের সপ্তাহে একই মাছ কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।
মাছ বিক্রেতারা বলছেন, শুষ্ক মওসুমে জলাশয়ের পরিমাণ কমে আসে। ফলে খুব বেশি মাছ ধরা পড়ছে না। তা ছাড়া শীতের কারণে গাড়ী আসতে পারছে না। ফলে সব মাছেরই দাম কিছুটা বেড়েছে।
আগের গত সপ্তাহের মতোই চড়া দামে বিক্রি হয়েছে চাল। বিআর-২৮ চালের দাম কেজিপ্রতি ৫৪ টাকা, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অপেক্ষাকৃত মোটা আকারের পারিজাত চাল ৪৬-৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তাছাড়া নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা ও জিরাশাইল ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা দোকানীরা।
বিয়ে, পিকনিক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কারণে খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা কেজি। আর বকরির মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা দরেই। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে গত সপ্তাহের মতোই ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা ডজন দরে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ