পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এমপিওভুক্তির দাবি না মানলে নন-এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকী দিয়েছেন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা বলেছেন, অবিলম্বে এমপিওভুক্তির দাবি মানা না হলে অনশন কর্মসূচির পাশাপাশি সারাদেশের সকল নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। গতকাল (বুধবার) নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের অনশন কর্মসূচির চতুর্থ দিনে এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। এদিকে সরকারি অনুমোদনে কার্যক্রম চালিয়ে আসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে অসুস্থ শিক্ষকের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। গতকাল অনশনের চতুর্থ দিনে যারা অসুস্থ হয়েছেন তাদের মধ্যে ‘নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের’ ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ রায়ও রয়েছেন বলে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক দবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অসুস্থ শিক্ষকদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশি নাজুক, তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কর্মসূচিস্থলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরকার স্বীকৃত সোয়া পাঁচ হাজার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষক-কর্মচারী গত ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করেন। পরদিন থেকে তারা ‘আমরণ অনশন’ শুরু করেন। কর্মসূচির তৃতীয় দিন মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করে ফেডারেশন। এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ না জানানো পর্যন্ত অনশন চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। অসুস্থ শিক্ষক নেতা গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য সুষ্পষ্ট না হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার থেকে এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আসলেই আমরা এখান থেকে চলে যাব, অন্যথায় আমাদের কর্মসূচি এভাবেই চলবে। দ্রæত দাবি মানা না হলে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে ফেডারেশনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো জাতীয়করণের দাবিতে গত ১ জানুয়ারি থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন ওইসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষক। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রেসক্লাব এলাকা ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।