ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
কলেজ শিক্ষকদের আত্তীকরণ
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪২টি কলেজ জাতীয়করণের নামে জিও জারি হয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে আরও ২৮৩টি কলেজ। দুঃখের বিষয়, বিতর্কিত আত্তীকরণ বিধিমালা-২০০০-এর খড়্গ চাপিয়ে কাম্য যোগ্যতার প্রশ্নে প্রভাষকদের পাসকোর্স এবং অনার্সে তৃতীয় বিভাগ থাকার অজুহাতে প্রায় তিন শতাধিক অভিজ্ঞ শিক্ষককে আত্তীকৃত থেকে বঞ্চিত করার চেষ্ট হচ্ছে। বিধির ২ (গ) উপধারাটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার সূক্ষ্ণ পরিকল্পনামাত্র। যেখানে চাকরিকাল ৫০ শতংশ ধরে আত্তীকৃত হওয়ার বিধান রয়েছে। বহু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপকদের পিএসসির নিয়োগকৃত সর্বশেষ ব্যাচের জুনিয়র ক্যাডার কর্মকর্তার নিচে অনুশাসন জারি শিক্ষকদের মর্যাদা ও মানবিক অধিকার বিনষ্ট করা ছাড়া কিছুই নয়। অশিক্ষক বা প্রদর্শক যাদের বিএসসিতে দ্বিতীয় এবং সহকারী গ্রন্থাগারিকদের ডিপ্লোমায় দ্বিতীয় বিভাগ না থাকায় একপদ নিচে নামিয়ে আত্তীকরণের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে শিক্ষকরা নির্বাক। বিতর্কিত ২০০০ বিধির কারণেই জাতীয়করণকৃত প্রায় প্রতিটি কলেজেই তিনটি শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে- সরকারি, বেসরকারি, ননএমপিও। এতে শিক্ষকদের ভেতর আত্মকলহ, মানবিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন, ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সব জাতীয়করণকৃত কলেজের আত্তীকরণবঞ্চিত শিক্ষককুলের সম্মান ও অস্তিত্ব রক্ষায় তিনি যেন একটি যুগোপযোগী, বৈষম্যহীন, শিক্ষকবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নে দ্রæত কার্যকরী ব্যবস্থা নেন।
সনোজ কুন্ডু
প্রভাষক, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ
অতিথি পাখি শিকার নয়
এখন শীতকাল চলছে। এ সময় আমাদের দেশে সুদূর সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখিরা আগমন করে। কারণ ওসব দেশে শীতকালে তীব্র তুষারপাত হওয়ায় পাখিদের জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। মূলত প্রাণ বাঁচাতে ও খাদ্যের খোঁজে দেশ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের সবুজ অভয়ারণ্যে চলে আসে। বিল, দিঘি, ঝোপঝাড়ে অতিথি পাখিগুলো আশ্রয় গ্রহণ করে। বাংলাদেশের পাখিদের সঙ্গে মেলবন্ধন করে নেয়। অতি দুঃখজনক কথা হলো, শীতকালে দেশে আগমনরত এই অতিথি পাখিরা নির্বিচারে শিকার হয়। সেগুলো চড়া দামে দেশের হোটেলগুলোতে বিক্রি করা হয়। ধনীরা ওসব কেনেন। লোকচক্ষুর সামনে এসব ঘটে। তবুও কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। আমাদের দেশে পাখি শিকার সম্পর্কিত আইন আছে। কিন্তু তার প্রয়োগ কমই দেখা যায়। আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার নেই ও অপরাধীকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না বলেই প্রতি বছর পাখি শিকার অব্যাহত থাকে। পাখিশিকারিরা শুধু অতিথি পাখি শিকার করেই থেমে থাকে না, আমাদের দেশি পাখিগুলো নির্বিচারে শিকার করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশ থেকে অসংখ্য পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
এভাবে চললে দেশের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পতিত হতে হয়তো আর বেশি সময় লাগবে না।বাংলাদেশকে পাখির দেশ বলা হয়। একদা দেশে প্রায় ৫৬৬ প্রজাতির পাখি ছিল; কিন্তু তা এখন আর নেই বললেই চলে। দেশি পাখির মতো অতিথি পাখিগুলো যদি হারিয়ে যায়, তাহলে আমরা পাখির অবাধ বিচরণ দেখতে পারব না। তাই পাখির শত প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে অতিথি পাখি নিধন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মোহাম্মদ অংকন, শিক্ষার্থী, ঢাকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।