পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলায় গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেনের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ড.কামাল কোন মুখে সরকারকে অবৈধ বলেন? তিনি তো কোনদিন ভোটে নির্বাচিত হননি। ভোটে দাঁড়ানোরও সাহস পাননি তিনি। তিনিও বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন।
পাকিস্তানের পদ লেহনকারীরা আজ ষড়যন্ত্র করছে। ড.কামালের মতো কিছু বুদ্ধিজীবি, সুশীল সমাজ নীল কুঠিরের ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্র বিরোধীদের ক্ষমতায় বসাতে চায়। গতকাল রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে ময়মনসিংহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত বিজয় পতাকা মিছিলের আগে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ড.কামাল নয়, বঙ্গবন্ধু সংবিধানের প্রণেতা এমনটি উল্লেখ করে ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে সংবিধান হয়েছে। সুশীল সমাজের ড.কামাল ক’দিন আগে বলেছেন, এ সরকার না কী অবৈধ? প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকলে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় নির্বাচিত হবার ইতিহাস রয়েছে। আমেরিকার সিনেট মেম্বার, কংগ্রেস মেম্বার এবং গণতন্ত্রের সুতিকাগার ইংল্যান্ডের ভিলাতেও বিনা প্রতিদ্ব›দ্ব¦ীতায় এমপি নির্বাচিত হয়। আওয়ামী লীগকে আরো সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত করার আহবান জানিয়ে সাবেক এ খাদ্য মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নৌকা ও শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, খালেদা ও তাঁর পরিবার এবং প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপিরা অবৈধ ক্ষমতার বিস্তারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ইতোমধ্যে তা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, এ টাকা কার? এ টাকা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবারো ক্ষমতায় আসতে চায় জনগণের টাকা লুটপাট করার জন্য। ২০০৭ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া ৩৩ লাখ টাকা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য জরিমানা দিয়েছেন। তাঁর দুই ছেলে চোর এ কারণে তাঁর গলাও অনেক বড়। খালেদা তারেকের জায়গা বাংলার মাটিতে কোনদিন হবে না।
ময়মনসিংহ জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আ’লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জেলা আ’লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু।
বক্তব্যে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু’র নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় আ’লীগের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনীতিক ও নীতি নির্ধারক ড.আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ মহানগর এগিয়ে যাবে তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিক ইকরামুল হক টিটু’র দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে।
বিজয় পতাকা মিছিলে ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ও মহানগর আ’লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা মো: ইকরামুল হক টিটু’র অনুসারী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিশাল শোডাউন করেন। এ পতাকা মিছিলকে ঘিরে গোটা নগরী ছিল লাল-সবুজের পতাকায় একাকার।
স্মরণকালের দীর্ঘ এ বিজয় পতাকা মিছিলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম.এ.আজিজ, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান, জেলা আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ড.সামিউল আলম লিটনসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতা-কর্মীরা বিশাল শোডাউন করে যোগ দেন।
পরে বিজয় পতাকা মিছিলটি নগরীর গাঙ্গিনারপাড় মোড়, নতুন বাজার, জিলা স্কুল মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টাউন হল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। ঐতিহাসিক এ বিজয় পতাকা মিছিলের নেতৃত্ব দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।