পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সার্বিক পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬৫ : জেএসসিতে ৮৩ দশমিক ১০ : জেডিসিতে ৮৬ দশমিক ৮০
স্টাফ রিপোর্টার : অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার সব সূচকেই ফল খারাপ হয়েছে। গতবারের চেয়ে কমেছে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, বেড়েছে অনুত্তীর্ণের সংখ্যা, কমেছে পাসের হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। অন্যদিকে বেড়েছে শূণ্য পাসের প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। গতবারের তুলনায় পাসের হার কমেছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ বছর এই দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন। যা গতবার ছিল ২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন। এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। এ বছর এমন প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার ২৭৯টি, যা গতবার ছিল ৯ হাজার ৪৫০টি। আর শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছ। এবার এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ৫৯টি, যা গতবার ছিল ২৮টি। গতকাল (শনিবার) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য তুলে ধরেন। ফল কেন খারাপ হলো জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো কিছু গোপন করিনি। যা ফল হয়েছে, তাই প্রকাশ করেছি। সার্বিক মূল্যায়নের জন্য সময় দরকার। এর আগে দুপুর ১২টায় সকল বোর্ড চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেএসসি-জেডিসির ফলাফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার মান ঠিক রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের স্কুলগুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা; এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। পাসের হার কমে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর যেহেতু আপনাদের নজরদারি বেড়েছে; সে কারণে হয়ত একটু কম। আশাকরি ভবিষ্যতে যেন বাড়ে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে, আমরা সব রকম সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। সেখানে, তারা ফেল করবে কেন? তাদের মেধা আছে। স্কুলগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠক্রম পরিবর্তনের তাগিদ দেন তিনি।
এবছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মোট ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৪২জন শিক্ষার্থী। যা গতবছরের তুলনায় বেড়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৩৮৩ জন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ২৭১ জন। সার্বিকভাবে মোট পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৯৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। এবার পাসের হার কমেছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন। যা গতবছরের তুলনায় কমেছে ৫৫ হাজার ৯৬০জন। গতবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল দুই লাখ ৪৭ হাজার ৫৮৮ জন। কমেছে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান। গতবার ৯ হাজার ৪৫০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করলেও এবার কমেছে ৪ হাজার ১৭১টি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর পরীক্ষার ফলাফলে ৫ হাজার ২৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। অন্যদিকে বেড়েছে শূণ্য পাসের প্রতিষ্ঠান। গতবার ২৮টি প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। এবার ৩১টি নতুন করে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯টি প্রতিষ্ঠান।
সার্বিক ফলাফলে দেখা যায় অংশগ্রহণে, উত্তীর্ণের সংখ্যায়, পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এবার জেএসসি-জেডিসিতে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ লাখ ২১ হাজার ২২ জন ছাত্র এবং ১২ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৯ জন। ছাত্রের তুলনায় এবছর অংশগ্রহণকারী ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৭ জন। সার্বিকভাবে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ হলেও এককভাবে মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ছেলেদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার শূণ্য দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৮৯৮ জন ছাত্র এবং ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭৩০ জন। ছাত্রদের তুলনায় ২৯ হাজার ৮৩২জন ছাত্রী বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
আলাদাভাবে এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ১০ শতাংশ। যা গতবার ছিল ৯২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। জেএসসিতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৭ জন, গতবার ছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯ জন। অন্যদিকে, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। গতবার এই হার ছিল ৯৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এবার পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ২৩১ জন, গতবার পেয়েছিল ১২ হাজার ৫২৯ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।