ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
২১ ডিসেম্বর ‘যানজটমুক্ত নগরী ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি’ ব্যানারে নাগরিক সমাজ ঢাকায় মানববন্ধন করেছে। ব্যাথিত হওয়ার মত সংবাদ। এদেশে সড়ক যানজটমুক্ত করতে জনগণকে রাস্তায় নামতে হলো। মানুষ রাজধানীর সড়কে ঠিকমতো হেঁটেও চলতে পারছে না। যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় যানবাহনের গতি কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর হেঁটেই গাড়ির আগে যেতে পারবে মানুষ। এই শহরে এখন ঘণ্টায় গড়ে প্রায় সাত কিলোমিটার গতিতে চলছে যানবাহন। যানবাহনের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে ২০২৫ সালে এই শহরে যানবাহনের গতি হবে ঘণ্টায় চার কিলোমিটার, যা মানুষের হাঁটার গতির চেয়ে কম। মানুষের হাঁটার গড় গতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটার। বিশ্বব্যাংকের তথ্য, বর্তমানে যানজটের কারণে বছরে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, অঙ্কের হিসাবে তা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন এর পরিমাণ ৮৪ কোটি টাকার মত।
যানজটের কারণে রাজধানীতে পরিবহন প্রবেশ করতে না পারায় প্রতিদিন বিভিন্ন খাত থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে যানজটের কারণে দিনে আর্থিক ক্ষতি প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এই ১২ ঘণ্টায় রাজধানীতে চলাচলকারী যানবাহনকে যানজটের কারণে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়। এর মধ্যে প্রতিদিন রাস্তায় নামছে প্রায় ২০০ বিভিন্ন ধরনের পরিবহন। ২০৩০ সালে ঢাকায় জনসংখ্যা হবে ৩০ কোটি। এ প্রেক্ষাপটে যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেয়ার সময় এখনই। রাজধানী ঢাকাকে সবার জন্য বসবাসের উপযোগী করতে হলে যথাযথ সুদূরপ্রসারী ও সমন্বিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি। যানবাহন এবং যানজট যে শহরের সচলতা কমিয়ে দিচ্ছে তাই নয়, আর্থিক ক্ষেত্রেও অভিঘাত হানছে। এখন যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা শহর সে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে এ শহর অসচল হয়ে পড়বে।
ঢাকাকে বলা হয় যানজটের শহর। বার মাসই এ শহরে যানজট লেগে থাকে। বিশ্বের মেগাসিটিগুলোর মধ্যে ঢাকার মতো আর কোথাও বিরক্তিকর যানজটের আবির্ভাব হয় কি না আমাদের জানা নেই। যানজটের কারণে ঢাকা আজ এক গুরুতর অসুস্থ নগরী। যাতায়াত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে নিরবচ্ছিন্ন যানজটে। যানজট সমস্যার সমাধানের জন্য নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে যানজট সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে কার্যকর অগ্রগতি এখনো লক্ষ করা যাচ্ছে না। যানজট রাজধানী ঢাকার দেড় কোটি মানুষের মেগাসিটিকে স্থবির করে দিচ্ছে। প্রতিদিন যানজটে লাখো মানুষের হাজার হাজার কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। জ্বালানি অপচয় হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। রাজধানী ক্রমান্বয়ে অচল নগরীতে পরিণত হচ্ছে। জনসংখ্যার তুলনায় রাস্তার স্বল্পতা এবং স্বল্পগতির অযান্ত্রিক যানবাহনের আধিক্যকে এ স্থবির অবস্থার জন্য দায়ী করা হয়। রাজপথে রিক্সার আধিক্য, ট্রাফিক আইন না মানা, পরিকল্পনার অভাব, ফুটপাত দখল, প্রাইভেট কারের সংখ্যা স্পুটনিক গতিতে বৃদ্ধি পাওয়াও যানজটের অন্যতম কারণ। তবে সা¤প্রতিক সময়ে যানজটের কারণ হিসেবে ভাঙাচোরা রাস্তা এবং কারণে-অকারণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িকেও দায়ী করা হচ্ছে। যেখানে-সেখানে পার্কিং, ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো ইত্যাকার সমস্যা তো বহু পুরনো। কিছুতেই রাজধানীর যানজট সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যানজট পরিস্থিতি দিন দিনই জটিল হচ্ছে।
তাতেও কি থেমে আছে বিআরটিএ? অবাক করা কথা! এমন পরিস্থিতিতেও বিআরটিএতে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। এতে বোঝা যায়, প্রতিদিন ঢাকার রাস্তায় কতগুলো গাড়ি নামছে। কিন্তু প্রতিদিন কি ঢাকার রাস্তা বড় হচ্ছে? তবে গাড়ি যারা নামাচ্ছেন তারা প্রয়োজনেই নামাচ্ছেন। এগুলো ব্যবহার করছেন। এত গাড়ি আছে, প্রতিদিন এত নতুন নতুন গাড়ি নামছে, এর পরও পাবলিক বাসে মানুষ সিট পাচ্ছে না। ঠেলাঠেলি করে এমনকি গেটে ঝুলে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নগরীতে চলাফেরা করছেন। আর এ ধরনের অগণিত গাড়ির বহরে ভরে যাচ্ছে নগরীর রাস্তাগুলো। গাড়ির ভেতরে যেমন ভিড় মানুষের, বাইরেও তেমনি ভিড় গাড়ির। ফুটপাতগুলোয়ও কিলবিল করছে মানুষ।
আসলে আমাদের দেশটার কোনো গতি নেই; আছে দুর্গতি। যানজটের যে অবস্থা তাতে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত ঢাকার মানুষকে মোটমাট কত বছর রাস্তায় আটকে থাকতে হয়? এক হিসাবে তা সাড়ে সাত বছর। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ূ এখন ৬৮ বছর। এ হিসেবে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত যাতায়াতের সময়ের আনুমানিক যোগফল হবে কমসে কম সাড়ে সাত বছর। এটা গায়েবি গজব নয়, মনুষ্যসৃষ্ট আজাব। এ আজাব থেকে আমরা মুক্তি চাই।
আমাদের যতটুকু সড়কপথ আছে তাতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানাবিধ পদক্ষেপ নিলে যানজট ৮০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা বিশ্বের বড় বড় শহর এমনকি হজের সময় মক্কা, মদিনা; অলিম্পিক গেমসহ নানা বড় আসরের সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে সে সময় কত সহজেই না যানজট নিয়ন্ত্রণ করছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। অলিম্পিকের মতো আসরে দিন গুনে জোড়-বেজোড় নম্বরের প্রাইভেট গাড়িগুলো চলাচল করতে দিচ্ছে। এক দিন জোড় সংখ্যার গাড়িগুলো রাস্তায় চলার অনুমতি পাচ্ছে তো পরদিন পাচ্ছে বেজোড় সংখ্যার গাড়িগুলো। বিশেষ মুহূর্তগুলোতে বাইরের শহরের গাড়িগুলো শহরে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে পত্রিকায় ঘোষণা দেয়া হচ্ছে ফলে দুর্ভোগ হচ্ছে না, হচ্ছে না যানজটও। জোড়-বেজোড় নম্বরের গাড়িগুলো রাজধানীতে দিন গুনে চলাচল করতে দেয়া যেতে পারে। ঢাকা মহানগীরর যানজট, পার্কিং সমস্যা, পরিবেশ দূষণ ও জনদুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে আশু করণীয় হলো পার্কিং চাহিদা নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, বিনামূল্যে পার্কিং বন্ধ করা এবং অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করা, সর্বত্র জায়গা ও সময়ের মূল্যানুসারে পার্কিং ফি নেয়া, পার্কিং থেকে প্রাপ্ত অর্থ পাবলিক পরিবহনের মানোন্নয়নে ব্যয় করা। নগরের ব্যস্ততম এলাকায় প্রাইভেট কার চলাচলের ক্ষেত্রে কনজেশন চার্জ গ্রহণ করা, প্রাইভেট কারের লাইসেন্স সীমিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে প্রাইভেট গাড়ির পরিবর্তে পাবলিক পরিবহনের ব্যবস্থা করা, প্রাইভেট গাড়িনির্ভর অবকাঠামো (ফ্লাইওভার, পার্কিংয়ের স্থান তৈরি) নির্মাণ না করা। পাবলিক পরিবহন, জ্বালানিমুক্ত যান ও পথচারীদের সুবিধা বৃদ্ধি করা। জায়গা ও সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা ও প্রাইভেট কারের পার্কিং সমস্যা সমাধানে পার্কিংয়ের জন্য সময় ও স্থান অনুসারে অর্থ গ্রহণই যুক্তিযুক্ত।
রাজধানীর যানজট সহনীয় মাত্রায় আনতে স্বল্পগতির যানবাহন ও প্রাইভেট কারের সংখ্যাধিক্যের দিকে নজর দেয়া দরকার। ট্রাফিক আইন যাতে সব ক্ষেত্রে কড়াকড়িভাবে মানা হয় সে ব্যাপারেও যতœবান হতে হবে। ফুটপাত থেকে দোকানপাট উঠিয়ে দেয়া, যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রাইভেট কার চলাচল কমিয়ে আনার কথাও ভাবতে হবে। রাজধানীতে জনসংখ্যার তুলনায় সড়কের সংখ্যা এমনিতেই কম। তার পরও রয়েছে স্বল্পগতির রিকশা ও প্রাইভেট কারের আধিক্য। ফুটপাত দখল করে দোকানপাট চালানো কিংবা রাস্তায় যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং এ মেগাসিটিতে নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো প্রাইভেট কারের অপরিকল্পিত পার্কিং। ঢাকার প্রায় সব সড়কেই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে গাড়ি পার্কিং। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচলের জায়গা কমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আবার পার্কিংয়ে কোনো নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ প্রাইভেট কার ব্যবহারে আরো উৎসাহিত হচ্ছে। গাড়ি বাড়ছে, বাড়ছে পার্কিং সমস্যাও। পার্কিং সমস্যা নিরসনে এর আগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হলেও সমাধান মেলেনি। যানজট নিয়ন্ত্রণ, সম্পদ ও জায়গার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পার্কিং সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বের করা জরুরি। রাজধানীর যানজট নিরসনে সঠিক পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্তের অভাব দেখা যায়। পার্কিং সমস্যা নিরসনে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণের বিকল্প কিছু নেই। ঢাকার রাস্তা, ফুটপাত, খেলার মাঠ, পার্ক সর্বত্রই প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের জন্য নামমাত্র মূল্যে বা বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া ভবনে আবশ্যিকভাবে কার পার্কিংয়ের জন্য জায়গা রাখা ও পার্কিংয়ের জন্য ভবন নির্মাণ করে শহরে প্রাইভেট কারকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। মতিঝিল এলাকায় নির্মাণাধীন সিটি সেন্টারে ৫০০ প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে ১০টি ফ্লোর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় প্রতিটি ভবনে প্রাইভেট কারের পার্কিং সুবিধা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; যার ফলে ভবিষ্যতে প্রাইভেট কার বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের হিসাবমতে মতিঝিল-দিলকুশা এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার প্রাইভেট কার পার্কিং করা হয়। প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ না করা হলে এবং সেই সঙ্গে বিকল্প পরিবহন সুবিধা দিতে না পারলে শুধু পার্কিং সুবিধা বৃদ্ধি করে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। জনসমাগমস্থলে গাড়ি পার্কিং করা হলে মানুষের চলাফেরা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নষ্ট হয়। আমরা চাইলেই ফুটপাত বা রাস্তায় ব্যক্তিগত জিনিস রাখতে পারি না। অথচ সর্বত্রই প্রাইভেট কার পার্কিংয়ের জন্য রাস্তা এবং ফুটপাত ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুটপাত ও রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করায় মানুষের চলাচল বিঘিœত হয়, আশপাশের ব্যবসা কেন্দ্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, জনসাধারণের অবাধ বিচরণের অধিকার খর্ব হয়।
যানজটের কারণে ঢাকার নাগরিক জীবনের কোনো সময়সূচি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। কর্মজীবী মানুষকে কর্মস্থলে যেতে এবং কাজ শেষে ফিরতে প্রতিদিন এতটা সময় ব্যয় করতে হচ্ছে যে, বিমানে করে সে সময়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাওয়া শুধু নয়, ফিরে আসাও সম্ভব। রাজধানীর যানজট নাগরিকদের মনোরাজ্যে প্রতিদিনই সৃষ্টি করছে বিরূপ প্রভাব। কেড়ে নিচ্ছে মনের শান্তি। অর্থনীতির জন্য সর্বনাশা প্রভাবও সৃষ্টি করছে এ সমস্যা। রাজধানীতে প্রতিটি যান্ত্রিক যানবাহনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল বা সিএনজি ব্যবহৃত হয়, তার প্রায় অর্ধেকটাই অপচয় ঘটে যানজটের কারণে। অথচ চরম বিরক্তিকর এ সমস্যা থেকে নগরবাসীকে রেহাই দেয়ার তৎপরতা নেই বললেই চলে। রাজধানীর যানজট নিরসনে ট্রাফিকব্যবস্থাকে গতিশীল করার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মহোৎসবেও লাগাম পরাতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের সব কিছুতে রাজধানীমুখী যে প্রবণতা রয়েছে তাতেও বাদ সাধতে হবে। সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিসের বিকেন্দ্রীকরণ করেও ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব।
যানজটের কবল থেকে ঢাকাকে রক্ষা করতে মেট্রোরেল সার্ভিস, পাতালরেল, ট্রানজিট সুবিধা, পার্কিং মিটার, দ্বিতল বাস সার্ভিস চালুর বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন জরুরি। অন্যথায় পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। এ ছাড়া প্রাইভেট কার, রিকশা, বেবিট্যাক্সিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। মতিঝিলকে বাণিজ্যিক জোন ঘোষণা করে বাস ছাড়া সব পরিবহন বন্ধ করে দিতে হবে। রাজধানী ঢাকার মোট আয়তনের ৬-৭ ভাগ রাস্তা। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা ২৫-৩০ ভাগ থাকার কথা থাকলেও ঢাকায় তা নেই। যেটুকু রাস্তা আছে এর অনেকাংশই দখলে। বিশ্বব্যাংকের মতে রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতিতে যানজট নিরসন অসম্ভব। তাহলে ঢাকাবাসীর কী হবে? যানজটেই আটকে থাকবে ঢাকাবাসী? না, এ দুঃসহ যানজট থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করতেই হবে। এজন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা আর আইনের প্রয়োগ। সরকার এ ব্যাপারে সচেষ্ট হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।