Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে রহস্যজনক আগুনে দগ্ধ দুই সন্তানসহ মা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নগরীতে রহস্যজনক আগুনে দুই সন্তানসহ দগ্ধ হয়েছেন মা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা সোয়া ১১টায় নগরীর খুলশী থানার কুসুমবাগ গরিবউল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটির তিন নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের তিনজনকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে তানভীরা আক্তারের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তানজিনার শরীরের ১৫ শতাংশ এবং তানজীব হাসানের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
দুর্ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শয়নকক্ষে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সৃষ্ট অগ্নিকাÐে তারা দগ্ধ হয়েছেন। তবে প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি। সেখানে কোন বিস্ফোরকেরও আলামত পাওয়া যায়নি। আগুন কিভাবে লেগেছে এবং তারা তিনজন কিভাবে দগ্ধ হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আবদুর ওয়ারিশ বলেন, এখানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হয়নি। কি কারণে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি জানান, গ্যাস সিলিন্ডারটি ছিল শয়নকক্ষে। সেটির লক খোলা ছিল। কিন্তু কোনো দেয়াশলাইয়ের কাঠি বা লাইটার ওই কক্ষে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল এবং তখন ভেতরে মা ও দুই সন্তান সেখানে ছিলেন। সিলিন্ডারটি বেডরুমে কেন রাখা ছিল তাও তদন্ত করা হবে। ওই সড়কের গোলাম মহিউদ্দিন বাবুল নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলার ওই বাসায় ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুল হাসান মেহেদী স্ত্রী, দুই সন্তান ও মাকে নিয়ে থাকতেন। আগুনে বেডরুমে থাকা তানভীরা আক্তার রিয়া (৩৫), মেয়ে তানজিনা (১৩) ও ছেলে তানজীব হাসান (৮) দগ্ধ হন। ঘটনার সময় কামরুল হাসান মেহেদীর বৃদ্ধা মা অন্য কক্ষে ছিলেন।
কামরুল হাসান মেহেদী স›দ্বীপের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি রূপালী ক্রেডিট কো-অপারেটিভ লিমিটেডের হালিশহর শাখার ম্যানেজার। তানজিনা ষষ্ঠ শ্রেণির এবং তানজীব তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই ভবনের কেয়ারটেকার আবদুর রউফ বলেন, সকালে হঠাৎ করে জানালা দিয়ে আগুনের শিখা বের হতে দেখে আমরা ছুটে যাই। ওই কক্ষের সাথে লাগোয়া বারান্দায় শুকাতে দেয়া কাপড়ে ও বিছানায় আগুন জ্বলতে দেখি। এসময় দুই সন্তান বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিল। আবদুর রউফ বলেন, ওই বাসায় যাওয়ার পর রুমটি ভেতর থেকে আটকানো দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজার লক ভাঙ্গা হয়। তারপর পানি ছিটিয়ে আগুন নেভাই।
কামরুল হাসান মেহেদী সাংবাদিকদের বলেন, মাঝে মাঝে লাইনের গ্যাসে সমস্যা হয়। তাই সিলিন্ডারটি এনে রাখা হয়েছিল। সকালে আমি অফিসে যাওয়ার জন্য বের হই। তখন সবই ঠিক ছিল। তবে গ্যাস সিলিন্ডার কিভাবে বেডরুমে গেল সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি কামরুল হাসান মেহেদী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ