পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় দিনাজপুর শহর সংলগ্ন পুনর্ভবা-আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দিনাজপুর শহরে পানি প্রবেশ করেছিল। উক্ত নদী ছাড়াও ঢেপা নদীর উভয় পার্শ্বের তীর রক্ষা বাঁধের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বিরল, চিরিরবন্দর, কাহারোল উপজেলাসহ বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ক্ষতি হয় কয়েক’শ কোটি টাকার। এখনও অনেক এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি স্বাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে। বন্যার তান্ডবে বাড়ি ঘর হারানো হাজারো পরিবার এখনও এক প্রকার খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা রক্ষায় এখনও বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ নির্মাণের জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তবে কবে অর্থ বরাদ্দ হবে আর কবে টেন্ডার হবে তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের মানুষ। কেননা বর্ষাকালে বাঁধ নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব। আর বাঁধ নির্মাণ করা না হলে আবারও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে দিনাজপুর।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে সাম্প্রতিককালের বন্যায় জেলার পুনর্ভবা নদীর শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় দিনাজপুর জেলা শহরসহ সদর উপজেলা এবং পাশ্ববর্তী বিরল, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, কাহারোল, চিরিরবন্দরসহ ৬টি উপজেলা ব্যাপক প্লাবিত হয়ে ক্ষেতের ফসলসহ মানুষের ঘরবাড়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুনর্ভবা নদীর শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণও জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অর্থ বরাদ্দের জন্য চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান জানান, বিগত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়া পুনর্ভবা নদী সংলগ্ন কাহারোল, বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঢেপা নদীর উভয় তীর রক্ষার লক্ষ্যে দুটি প্রকল্পের ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের চাহিদায় প্রস্তাবনা দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। পুনর্ভবা এবং ঢেপা নদীর উভয় পার্শ্বের বাঁধ নির্মাণ আগামী বছর বর্ষা মৌসুমের পূর্বে শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অপর একটি প্রস্তাবনাও প্রেরণ করা হয়েছে। এই দুটি নদীর উভয় পার্শ্বের ৯৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব নির্ধারণ করা হয়। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে বাঁধ দুটি নির্মাণকরা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।