পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী প্রক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নাজেহাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একটা মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে ছোট করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ায় নয় আওয়ামী প্রক্রিয়ায় তাকে নাজেহাল করা হচ্ছে। আজকেও হাজিরা দিয়েছেন, কালকে হাজিরা পর্যন্ত তার জামিন আছে। এটা কী ভাবা যায়? একটা মিথ্যা, বানোয়াট মিথ্যা মামলা যার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। দেশবাসী জানে, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ক্রোধ ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে টানা হেঁচড়া শুরু করেছেন। অন্য কিছু না। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচন-২০১৭ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী প্যানেল পরিচিতির জন্য ছাত্রদল ফোরাম জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়া যেদিন হাজিরা দিবেন তারপরের দিন জামিন মেলে এটা ভাবা যায়? সমাজ রাষ্ট্রে কোথাও গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। কর্তৃত্ববাদী শাসনের একটাই মাত্র দল থাকবে, সেটা কে? ছাত্রলীগ! আমরা চাই কার্যকরভাবে একটা ফাংশনাল রাষ্ট্র আর আওয়ামী লীগ চায় আওয়ামী রঙ্গের রাষ্ট্র। এক দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ আছে বলেই আজকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই অবস্থা। তিনি বলেন, শিক্ষাকে এ সরকার পণ্যে নিয়ে গেছে, তার প্রমাণ মিলেছে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, সবাই চোর আমিও চোর। এমন সত্য বলায় এ সরকারের হাত থেকে শিক্ষামন্ত্রীরও রেহাই মিলবে না। শেষ পর্যন্ত চুরির দায় বহন করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নিজের ‘বক্তব্য পাল্টিয়ে’ দুর্নীতির দায় থেকে রেহাই পাবেন না মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন বোধহয় তার ওপরে চরম ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এখন তিনি ভাবছেন কেনো বলেছেন, কেনো বলেছেন। আজকে (গতকাল) তিনি আবার বলে বসলেন যে, না। এটা আমি ইনহেরিট করেছি, এটা আসলে বিএনপি জোট সরকার আমলের বোঝা। গত পরশুদিন তিনি এই কথা (বিএনপি জোট আমল) বলেননি। গতকাল থেকে তার ওপরে কালবৈশাখী ঝড়ে চলছে। এই ঝড়ে একেবারে ন্যূব্জ হয়ে এই কথা বলেছেন নিজে বাঁচার জন্য, মন্ত্রীত্ব রক্ষা করার জন্য। আমরা বলতে চাই, এতে কোনো লাভ হবে না শিক্ষামন্ত্রী।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, আপনারা শিক্ষাকে পণ্যে পরিণত করেছেন, শিক্ষাকে এতো অনৈতিক জায়গায় নিয়ে গেছেন ক্লাস ওয়ান থেকে ইন্টার মিডিয়েট ক্লাস পর্যন্ত। শুধুম প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকলের মহোৎসব তৈরি করেছেন। এর দায় থেকে আপনি নিষ্কৃতি পেতে পারেন না, নিষ্কৃতি পাবেন না। আজকে মনের অজান্তে বলে আপনি বলে দিয়েছেন কারা চৌর্যবৃত্তি করেছে? এই চুরির দায় আপনাকে বহনতেই হবে।
রিজভী বলেন, ‘মন্ত্রীরা চোর, আমিও চোর’ স¤প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি যে অনৈতিকতার একটা মনুমেন্টাল স্থাপন করলেন শিক্ষাঙ্গণের জন্য, শিক্ষার্থীদের জন্য, শিক্ষকদের জন্য, তা নজিরবিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতানসীন সমর্থিত শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সকল মূল্যবোধ, সংস্কৃতি সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এই একক কর্তৃত্ববাদী ভোটারবিহীন সরকার। এসবের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর সিনেট রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে ভেটগ্রহণ হবে। সর্বশেষ সিনেট গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছিলো ১৯৯৮ সালে। এবার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বিএনপি সমর্থিত প্যানেল ছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট প্যানেল নামে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত দুইটি প্যানেল রয়েছে।
জাতীয়তাবাদী প্যানেলে এবার সিনেটের প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- সাংবাদিক নেতা সৈয়দ আবদাল আহমদ, প্রফেসর ড. শামছুল আলম সেলিম, আশরাফ উদ্দিন খান, আজগর হোসেন, শাহানাজ পারভীন (লিপি), কেএম রাশেদুল হাসান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, মো: আলমগীর সরকার, রুহুল আমিন কুতুব উদ্দিন আহমাদ, মো: জামাল উদ্দিন রুনু, ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, মো: সাবির হোসাইন, প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম, ড. মো: তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, ড. শামীমা সুলতানা, সাবিনা ইয়াসমিন, প্রফেসর মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, ফরিদ মিয়া আরমান, সাহীদুল ইসলাম জুয়েল, মো. রবিউল ইসলাম, নাজমুল হাসান (অভি), জিয়াউর রহমান, রবিউল ইসলাম, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান ও আবদুল্লাহ আল মামুন (রাহাত)।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।