পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আটক শাহজাদা ওয়ালিদ বিন তালালের কাছ থেকে ছয়শ’ কোটি ডলার মুক্তিপণ চাইছে সউদী কর্তৃপক্ষ। আটককৃতদের কাছ থেকে যে পরিমাণ মুক্তিপণ চাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে তাতে এটি সর্বোচ্চ পরিমাণ। সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মুক্তিপণ দিতে রাজি নন তালাল, একে দোষ স্বীকার করে নেওয়ার শামিল বলে মনে করেন তিনি। আর তাই বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় এখনও মুক্তি পাননি এই সউদী ধনকুবের; এ ব্যাপারে এখনও দেনদরবার চলছে।
সউদী আরবে স¤প্রতি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। শাহী পরিবারের সদস্যদের ওপর প্রথম দফায় আটক অভিযান চালানো হয় ৪ নভেম্বর রাতে। ওই রাতে ১১ জনকে আটকের পরের দিনগুলোতে ধরপাকড়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এবং তার উচ্চাভিলাষী পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)-এর নির্দেশে তাদের আটক করা হয়। কয়েকদিনের মাথায় আটক হওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। এদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এবং রাজপরিবারের নারী সদস্যও রয়েছেন।
দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রথম দিনেই আটক হন বিশ্বের ৫৭তম ধনী তালাল। আকটকৃতদের বেশ কয়েকজন এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপণ আদায়ের পর তাদের ছাড়া হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়েছে। তবে এখনও মুক্তি পাননি তালাল। ওই সউদী শাহজাদার ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, এবার তালালের মুক্তির বিনিময়ে ছয় বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলার দাবি করেছে সউদী কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে জানাশোনা রয়েছে এমন এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, শাহজাদা চান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য যদি আদালতে যেত হয়, তবে তিনি তাই করবেন। তিনি এই ব্যাপারে ‘যথাযথ একটি তদন্ত’ চান। তালাল মনে করেন, মুক্তিপণ দিতে রাজি হওয়ার মানে হলো অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়া।
বর্তমানে সউদী আরবের বিলাসবহুল হোটেল রিজ কার্লটন-এ গত প্রায় দুই মাস ধরে বন্দি রয়েছেন ওয়ালিদ বিন তালাল। সউদী আরবের শীর্ষ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কিংডম হোল্ডিংস-এর মালিক তিনি। কিংডম হোল্ডিংস বিচিত্র খাতে বিনিয়োগে জড়িত সউদী আরব ভিত্তিক কোম্পানি। বিভিন্ন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা ও বিনিয়োগ করার পাশাপাশি এর লক্ষ্য হলো হোটেল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা, নির্মাণ সরঞ্জাম খাদ্য, কৃষিজাত পণ্য এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যের খুচরা ও পাইকারি বাণিজ্য, পরিবহন সরঞ্জামাদির বাণিজ্য, বিজ্ঞাপন, বাণিজ্যিক সেবা, শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা দেওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।