Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


গ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় নজর চাই
গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ এখনও দরিদ্র। তারা চিকিৎসার জন্য ভরসা রাখে গ্রামের সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ওপর। কিন্তু সেখানে ওষুধ মেলে না। কর্তব্যরত চিকিৎসক নানা ধরনের অজুহাত দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন; কিন্তু পরে সরকারি এসব ওষুধই পাওয়া যায় ফার্মেসিগুলোতে।
শামীম শিকদার
কাপাসিয়া, গাজীপুর


কেভারবিহীন বিদ্যুৎ লাইন কেন?
গত ২৭ নভেম্বর ২০১৭ বিকেল ৪টায় ধানমন্ডিস্থ ৪৪/কিউ/৫ ঝিকাতলা নতুন রাস্তায় তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটের বারান্দায় পাখির সঙ্গে খেলা করার সময় ১১০০০ কেভি খোলা তারে বিদ্যুৎস্পর্শে পড়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেএম রেজাউল ফিরোজ রিন্টুর ৬ বছরের ছেলে রাফসান নূর। তার শরীরের প্রায় ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) নর্থ বিভাগ এই এলাকায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে আবাসিক ভবন ঘেঁষে একটি পুরাতন লাইন থাকা সত্তে¡ও বিশেষ কোনো প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে বিদ্যুতের পুরাতন খুঁটিতে কভারবিহীন লাইন স্থাপন করে। এ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনকালে স্থানীয় লোকজন কভার লাইন দেওয়ার অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ ১১০০০ কেভি খোলা লাইন স্থাপন করে। নূরের বিদ্যুৎস্পর্শের ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ, শোকাহত।
উল্লেখ্য, এ বিদ্যুৎ লাইনটি যেখান থেকে শুরু হয়েছে সেখানে ভবন থেকে লাইনের দূরত্ব মাত্র দুই ফুট। পরবর্তী ভবন অর্থাৎ দুর্ঘটনাকবলিত ভবন থেকে দূরত্ব মাত্র চার ফুট, যে কোনো সময় এ বিদ্যুৎ লাইন থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রবিউল ইসলাম,
ঢাকা


দখল ও দূষণের কবলে করতোয়া
দখল ও দূষণের কবলে পড়ে বগুড়ার করতোয়া নদী এখন প্রাণহীন। এক সময় এই করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে প্রাচীন পুন্ডনগরের গোড়াপত্তন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকেই করতোয়া নদীর দখল শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করতোয়া নদী দখল হতে হতে প্রায় ২০০ কিলোমিটারের নদীটি এখন ছোট হয়ে ১০০ কিলোমিটারে রূপ নিয়েছে। পলি পড়ে ভরাট হলেও নদীটির নাব্যতা রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। নদীর পাড় দখল করে বাঁধ দিয়ে অস্থায়ীভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে। দুই পাড় ঘেঁষে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। শিল্প-কারখানার বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। নদীর পাড় দখল করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। হরহামেশা নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। নদীর সঙ্গে সংযোগ থাকা ছোট ছোট নালা দিয়ে কল-কারখানা ও অন্যান্য বর্জ্য এসে জমা হচ্ছে নদীতে। বালু উত্তোলনসহ এর দুই পাড় দখল হওয়ায় নদীটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। নামে-বেনামে নদীর তীর সময়-সুযোগমতো প্রভাবশালীরা দখল করে নিচ্ছে। কার্যকর উদ্যোগের অভাবে অচিরেই নদীটি দখল-দূষণের জাঁতাকলে পড়ে হারিয়ে যাবে। এ ছাড়া নদী-তীরবর্তী জনসাধারণের মধ্যে নদী রক্ষার ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাধন সরকার
শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন