ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
জনসেবা নাকি জনদুর্ভোগ
সরকারি দল ও বিরোধী দলের দাবি, তারা জনগণের বন্ধু, জনকল্যাণের জন্যই তাদের জনসভা। কিন্তু তাদের একেক দলের জনসভা যেন জনগণের জন্য দুর্ভোগ। নিয়মনীতিহীন গাড়িভর্তি মানুষের জনসভার দিকে ছুটে চলা র্যালি ও মিছিল মিলিয়ে তৈরি করে তীব্র যানজট। সাধারণ মানুষকে যানবাহনে বসে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এ থেকে কীভাবে মুক্তি পাব আমরা?
প্রবীর ঘোষ,
ঢাকা
ইভিএম পদ্ধতি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আমাদের মাঝে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন, পুরনো পদ্ধতিতেই নির্বাচন হোক। আবার কেউ বলছেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন করার কথা। অবস্থাভেদে যা মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন সেই পুরনো আমলের পদ্ধতিতেই নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব যখন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা কিনা পুরনোকেই আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এখন ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছে। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? আমরা চাই পুরনো সিল-ছাপ্পর পদ্ধতির পাশাপাশি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতি চালু। তাতে ঝুঁকিও কম। যদি ইলেকট্রনিক্স জালিয়াতির মাধ্যমে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে, তাহলে তা যেন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সেই গলদটুকু নিষ্ফ্ক্রিয় করা হয়।
মিলন সরকার,
কচুয়া, চাঁদপুর
বই উৎসবে অনিয়ম দূর হোক
২০১০ সাল থেকে ১ জানুয়ারি সারাদেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং সমমানের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহাউৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে সরকার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে গত বছর বই বিতরণ উৎসবের দিন সব বিষয়ের পাঠ্যবই একত্রে হাতে পায়নি কিছু শিক্ষার্থী। অথচ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে সরকার। তাহলে শিক্ষার্থীরা কেন বই উৎসবের দিন সব বই একত্রে পাচ্ছে না? বই বিতরণে অনিয়ম কি তাহলে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে? বই বিতরণের পূর্বে বিদ্যালয় কর্তৃক ধার্যকৃত সেশন ফিসহ আনুষঙ্গিক ফি পরিশোধ না করা হলে উৎসবের দিন বই দেওয়া হয় না। জানা যায়, বই উৎসবের দিন যারা নতুন বই হাতে পায়, তারা মহাআনন্দে, উৎফুল্ল মনে হাসতে হাসতে বাড়ি ফেরে। অনেকেই নতুন বই না পেয়ে বিষণ্ণ মনে বাড়ি ফেরে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, সরকারের বিনামূল্যের বইয়ের সঙ্গে সেশন ফির সম্পর্ক কী? বিনা মূল্যে বই বিতরণে সরকারের সাফল্য যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং সব শিক্ষার্থী যাতে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি বই বিতরণের মহাউৎসবের দিন নতুন বই হাতে পায়, সে জন্য সংশ্নিষ্ট সবার আন্তরিকতা কামনা করছি।
আবুল কালাম আজাদ
শ্রীপুর, গাজীপুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।