পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি
দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ শ্রম বাজারে আসে। ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ৭ কোটি ৬০ লাখে উন্নীত হতে পারে। দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এটা চাকুরির বাজারে প্রবেশে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বিশাল শ্রম শক্তিকে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাদের মতামতের স্বাধীনতা, ন্যায্য মজুরি, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ, চাকুরির নিরাপত্তা ইত্যাদি দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
গতকাল রাজধানীর মহাখালীর কাদিরিয়া টাওয়ারে অনুষ্ঠিত ‘শোভন কাজ, উপযুক্ত কাজের পরিবেশের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মূল উপস্থাপনায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে এ সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মকসূচির আনুষ্ঠানিক খাত বিষয়ক প্রধান আহমেদ তানভির আনাম।
ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজিত এ বৈঠকে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-’র প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা (স্কিলস ২১) ¯েœহাল সোনেজি, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পরিষদ (ন্যাশনাল স্কিলস ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল-এনএসডিসি) সচিবালয়ের উপ-পরিচালক (সহযোগী অধ্যাপক) নেপাল চন্দ্র কর্মকার, বাংলাদেশ সরকারের স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) এর কারিগরী-বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক (টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-টিভিইটি) বিশেষজ্ঞ ড. কবির মিয়া। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির অনানুষ্ঠানিক খাত বিষয়ক প্রধান ফারজানা কাশফি। সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির (টিভিইটি অ্যান্ড কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) সিনিয়র স্পেশালিস্ট কনক লতা। আরও বক্তব্য রাখেন এসইআইপি-এর সহকারি নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক দিলরুবা শাহীনা, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারীং ইন্ডাট্রি ওনারস এসোসিয়েশন –এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আশরাফ ইবনে নূর প্রমুখ।
¯েœহাল সোনেজি বলেন, শোভন কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার, নিয়োগকারী ও শ্রমিক এই তিনটি পক্ষকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কারণ, এখানে যে কোন একটি পক্ষ দ্বিমত প্রকাশ করলে এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এরমধ্যে ৫০-৬০ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। এছাড়া অনানুষ্ঠানিক কাজে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। তাই কাজের উপযুক্ত পরিবেশের ক্ষেত্রে কৃষি ও নারী শ্রমজীবীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
নেপাল চন্দ্র কর্মকার বলেন, তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি কাজের উপযুক্ত পরিবেশ ও চাকুরির নিরাপত্তা দিতে না পারলে উৎপাদনশীলতা আসবে না। আর এতে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি-৮) অর্জন ব্যাহত হবে।
ড. কবির মিয়া বলেন, চাকুরি প্রত্যাশী তরুণদের শুধু প্রশিক্ষণ নয়, পাশাপাশি চাকুরির সুযোগ সৃষ্টিতে আমাদের আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে।
ফারজানা কাশফি বলেন, শোভন কর্ম পরিবেশের ক্ষেত্রে আমাদের অনানুষ্ঠানিক খাতকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, এটি অধিকারভিত্তিক হলেও এর সামগ্রিক উন্নয়ন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)- এর তথ্যসূত্র উল্লেখ করে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১১ হাজার শ্রমিক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়। প্রায় ২৪ হাজর ৫০০ শ্রমিক মারা যায় কর্মক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।