পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দর এক হাজার ৪০০ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য মানের সোনার দরও প্রায় একই হারে বেড়েছে। গতকাল সোমবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে নয়, স্থানীয় বাজারে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে বলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিয়ের মৌসুম, বড় দিন এবং নতুন বছরকে সামনে রেখে স্থানীয় বাজারে সোনার চাহিদা বেশ বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ কম। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবার আমরা সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাংলাদেশে শীতকালে সাধারণত বিয়ে বেশি হয়ে থাকে। এবারও শীতের শুরুতে গত ২৬ নভেম্বর সোনার দাম বাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বিয়ের মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে সে সময়ও প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দর এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়ানো হয়। অন্যান্য মানের সোনার দরও ভরিতে ৫৫০ থেকে এক হাজার ২৮৩ টাকা পর্যন্ত বাড়ে।
তবে এরপর দুই সপ্তাহ না হতেই গত ১১ ডিসেম্বর কমানো হয় সোনার দাম। ২২ ও ২১ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ২৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দর এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়। এখন আবার সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রোববার বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার থেকে সারা দেশে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট অর্থাৎ সবচেয়ে ভালো মানের সোনা ৪৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি হবে। বর্তমানে এই মানের সোনা ৪৭ হাজার ৮২২ টাকায় মিলছিল। ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট সোনার দরও ভরিতে এক হাজার ৪০০ টাকা করে বেড়েছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ৮৭৫ টাকা বেড়েছে।
বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সোমবার থেকে ২১ ক্যারেট মানের সোনা ৪৭ হাজার ১২২ টাকায় বিক্রি হবে। গতকাল রবিবার পর্যন্ত এই মানের সোনার দর ছিল ৪৫ হাজার ৭২৩ টাকা। ১৮ ক্যারেট মানের সোনা বিক্রি হবে ৪১ হাজার ৮৭৪ টাকায়। রবিবার পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার ৪৭৪ টাকায়। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি দাঁড়াবে ২৫ হাজার ৬৬১ টাকা, যা এখন ২৪ হাজার ৭৮৬ টাকায় মিলছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে ২৫ ডিসেম্বর সোমবার থেকে সোনার নুতন দাম কার্যকর হবে। তবে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ১২ ডিসেম্বরের পর আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দর খুব একটা বাড়েনি। প্রতি আউন্সে (২ দশমিক ৬৫৪ ভরি) ২০ ডলারের মতো বেড়েছে। এবার দাম বাড়ানো হয়েছে মূলত স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ এবং জাতীয় স্বার্থে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষিত স্বর্ণ নীতিমালা দ্রæত প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে এই বছরের মধ্যে স্বর্ণ নীতিমালা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত নীতিমালা হয়নি। দ্রæত ওই করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, নীতিমালা করা হলে একদিকে যেমন চোরাচালান বন্ধ হবে, অন্যদিকে দামও কম পড়বে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দরবৃদ্ধি এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়ার কারণে গত ২৫ নভেম্বর সব ধরনের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা ২৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। নভেম্বরের আগে ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সোনার দর দুই দফা কমানো হয়েছিল। তার আগে ১০ সেপ্টেম্বর প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দাম দেড় হাজার টাকার বেশি বাড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
১৩ অগাস্ট সব ধরনের সোনার দাম একই হারে বাড়িয়েছিল বাজুস। তার আগে ২৭ জুলাইও বাড়ানো হয়েছিল। গত ৮ মে সোনার দাম কমিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তার আগে টানা কয়েক দফা বাড়ানো হয়। সোনার দাম বাড়লেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই প্রতি ভরি রুপা এক হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানিয়েছে জুয়েলার্স সমিতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।