পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোরের কাগজের ডিক্লারেশন বাতিল করতে হবে-মানববন্ধনে ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনে বাধা, ভোরের কাগজে পবিত্র হাদীছ শরীফকে কটুক্তির প্রতিবাদ, পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুদের বিভিন্ন যুদ্ধের বর্ণনা রেখে মুসলমানদের জিহাদ সংক্রান্ত সকল অধ্যায় তুলে দেয়ার প্রতিবাদ এবং জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা বাতিলের দাবীতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি ইসলামী সংগঠনের উদ্যোগে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনের পরে এক বিরাট মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি বছরে পোপের আগমনের অজুহাতে প্রশাসনে আইএস মতাদর্শী সালাফীদের চক্রান্তে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন বাধাগ্রস্থ করায় সরকারের ভাবমূর্তি দারুণ ক্ষুণœ হয়েছে। সালাফীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। জশনে জুলুশে বাধা দেয়ায় সরকারবিরোধী শাহজাহানপুর থানার ওসিকে বরখাস্ত করতে হবে। মাদরাসার পাঠ্য বইয়ে অর্ন্তভূক্ত হাদীস শরীফকে অশ্লীলসহ আপত্তিকর মন্তব্য করায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও রিপোর্টার অভিজিৎ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে এবং পত্রিকাটির ডিক্লারেশন বাতিল করতে হবে। ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চরম অবমাননাকরায় তেতুল হুজুরকে ক্ষমা চাইতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জেরুজালেমকে ইজরাইলের রাজধানী করার প্রতিবাদে মুসলিম বিশ্বকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ ও পণ্য বর্জন করতে হবে। অবিলম্বে জেরুজালেমকে ইজরাইলের রাজধানী ঘোষণা সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ওআইসি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে। আমাদের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এবং স্বাধীনতার ঘোষণার ইতিহাস দলীলপত্র ঘোষণা ইত্যাদিতে সুস্পষ্টভাবে জিহাদের বর্ণনা করা হয়েছে। আর সেই জিহাদের অপব্যাখ্যা করে পাঠ্যপুস্তক থেকে মুসলমানদের শৌর্যবীর্যের ইতিহাস ঐতিহ্যমন্ডিত অধ্যায়সমূহ মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ হিন্দুদের বিভিন্ন যুদ্ধের বর্ণনা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেয়া হয়নি। এসব নাস্তিক্যবাদী, হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। অথচ জিহাদ হচ্ছে, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আর জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদ চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। নাস্তিকদের বাদ দিয়ে আলিম ওলামাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ফেরিভাইড পেজ, ভারতীয় কমান্ডারের বই এবং বিভিন্ন সিনেমায় মহান মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধ বলায় ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারকারীদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। মুসলমানিত্ব নির্মূলের শিক্ষা আইন ও পাঠ্য সুচি অনুমোদন করা যাবে না। শিক্ষানীতি ২০১০ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ইসলাম, মুসলমান ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী জর্জ সরোসের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের ব্র্যাকসহ দেশবিরোধী সন্দেহজনক এনজিওগুলো অন্যান্য দেশের নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী ওলামা লীগসহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, পীরজাদা পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী পীর সাহেব, সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আরো বক্তব্য রাখেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, হাজী মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ রুপগঞ্জী, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আব্দুল জলিল, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।