Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রংপুর সিটি নির্বাচন এবং কিছু কথা

হোসেন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গত ২১ ডিসেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার কাছে পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু যিনি সদ্য সাবেক মেয়র। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাওছার জামান বাবলাও পরাজয় বরণ করেছেন। আরো পরাজিত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী এ টি এম গোলাম মোস্তফা। অন্য প্রার্থীদের কথা বলা নিষ্প্রয়োজন। সবারই জানা যে, এটি জাতীয় নির্বাচন নয়, একটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। জাতীয় পর্যায়ে এ নির্বাচনের কোনো গুরুত্ব নেই। তারপরও অনেকেরই বেশ কৌত‚হল ছিল এ নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেরই ধারণা ছিল যে, যেহেতু সেখানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মেয়র ছিলেন অতএব তিনিই হয়ত বিজয়ী হবেন বা তাকে বিজয়ী করা হতে পারে। তবে সে রকম কিছু ঘটেনি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং ভোটদাতাগণ নির্বিঘেœই তাদের ভোট দিতে পেরেছেন। তবে অভিযোগ আছে যে, বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক মেয়র এ নির্বাচনে পরাজিত হবেন, এ কথা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই ভাবেননি বলে মনে করা যেতে পারে। বহু সাধারণ মানুষও ভাবেনি। ঝন্টু পাঁচ বছর মেয়র ছিলেন। সাধারণভাবে মনে করা যেতে পারে যে, তার সময়ে রংপুর মহানগরীর উন্নয়নে তার যা করার ছিল তা তিনি করেননি। অর্থাৎ যা করলে ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়া যায় তা বোধহয় তিনি করে উঠতে পারেননি। এটা যদি সত্য হয়, কেন তিনি তা করলেন না বা পারলেন না তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কোনো কোনো সূত্রে এ পরাজয়ের জন্য তার সাম্পতিক দুর্ব্যবহারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ঝন্টু তার জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তবে তার জয়ী না হওয়াটা আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য বিব্রতকর বলে মনে করছে এমন প্রকাশ্য প্রমাণ মেলেনি। বরং এটা যে কোনো বিষয় নয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় সেটাই মনে হচ্ছে। যেমন সাধারণ সম্পাদক ওরায়দুল কাদের একে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরাজয় বললেও একে রাজনৈতিক বিজয় বলেও আখ্যায়িত করেছেন। অর্থাৎ তিনি বিজয়ের দিকেই থেকেছেন। অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তার এ কথা অবশ্য এক ধরনের অবজ্ঞামূলক বক্তব্য। তার মানে কি এই যে, আসছে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হবেই? কিন্তু রংপুর সিটি কর্পোরেশন মডেলেও যদি জাতীয় নির্বাচন অনুুষ্ঠিত হয় তাহলে এতটা আগাম আস্থা প্রকাশ সমীচীন নাও হতে পারে। তিনি বরং বলতে পারতেন যে, এটা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ রকম ফলাফল হতেই পারে। এ পরাজয় স্বাভাবিক ব্যাপার- তাহলে সেটাই বোধহয় বেশি ঠিক হত। অবশ্য নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরাও বলেছেন, রংপুর নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের নজির ধরা ঠিক হবে না।
লক্ষ করা গেছে , রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল। কোথাও কোনো গোলযোগের কথা জানা যায়নি। গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এ নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পরাজয় মেনে নিয়ে বিজয়ী মেয়র প্রার্র্থী মোস্তফাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঝন্টু। অন্যদিকে বিজয়ী মোস্তফা পরদিন তার বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাত করেছেন। তাকে সহযোগিতা করার আশ^াস দিয়েছেন ঝন্টু। এখানে ব্যাপক সম্প্রীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে বিএনপি বলেছে, নির্বাচনে দু’ভাবে ভোট চুরি হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, একটি হলো ভোট সন্ত্রাসের মাধ্যমে, আর একটি ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। ভোট শুরুর পর থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি আরো বলেছে, জাতীয় পার্র্টিকে মেয়র পদ ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখা যায় না বলেছেন। তবে তিনি ভোটের ফলাফল মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। আর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা। তিনি আইনি ব্যবস্থার দিকে যেতে পারেন। তবে ভোটের ফলাফলে সবচেয়ে খুশি হয়েছে জাতীয় পার্টি। এ নির্বাচনের ফলে জাতীয় পার্টি পুনরুজ্জীবিত হলো বলে আশা করেছেন দলের প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বিশ^াস যে, জাতীয় নির্বাচনে তার দলের বড় সাফল্যের সম্ভাব্য ইঙ্গিত বহন করছে রংপুরের সিটি নির্বাচন।
যাহোক, জাতীয় নির্বাচন না হলেও এ নির্বাচনের দিকে আগ্রহের সাথেই নজর রেখেছিলেন অনেকে। বিশেষ করে নতুন সিইসির নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা কী হয় তা দেখতে চাইছিলেন তারা। বলা যায়, সিইসি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে একজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, এটা কোনো বড় পরীক্ষা ছিল। জাতীয় নির্বাচনেই হয় আসল পরীক্ষা। তবে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ছিল এবং তারা ভালো নির্বাচন করেছে। জাতীয় নির্বাচন ভালো করার পূর্বশর্ত হলো ছোট নির্বাচনগুলো ভালো করা।’ এ বিষয়টিকে আরো বিশদ করে বলেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি বলব, অবশ্যই এটা নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা ছিল এবং তারা সেখানে পাস করেছে। ...আসলে একটি নির্বাচন সফল করতে হলে শুধু নির্বাচন কমিশন আন্তরিক হলেই হবে না, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদেরও আন্তরিকতা দরকার। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আন্তরিকতা দরকার। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সব পক্ষেরই আন্তরিকতা ছিল। যে কারণেই হোক সবাই চেয়েছে যে, এখানে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হোক। সে কারণেই সফল একটি নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।’
সবারই জানা, এটি আওয়ামী লীগের কোনো মর্যাদার লড়াই ছিল না যে, উচ্চ মহলের অদৃশ্য ইঙ্গিতে এখানে সিইসিকে বিশেষ কোনো ভ‚মিকা পালন করতে হবে। অর্থাৎ ঝন্টুকে যে কোনো মূল্যে জেতানোর কোনো ব্যাপার এখানে ছিল না। আবার সিইসির কাছে তার বিশ^াসযোগ্যতা প্রমাণের বিষয়টি জরুরি। বড় রকম কোনো চাপ ছাড়া বিশ^াসযোগ্যতা অর্জনের সুযোগ আসায় তিনি এটা কাজে লাগাবেন এটাই স্বাভাবিক। আসলে জরুরি সময়ে (জাতীয় নির্বাচনে) তিনি কী ভ‚মিকা পালন করেন সেটাই দেখার বিষয়। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে, সিইসি ও এক নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে কিছুদিন আগেই সেনা মোতায়েন বিষয়ে বক্তব্যের অসঙ্গতি প্রকাশিত হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল।
পত্র-পত্রিকায় নানা ধরনের কথা আসছে। তা থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে, ঝন্টু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও যে প্রার্থীকে উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে জেতাতেই হবে, তিনি সে ক্যাটাগরিতে ছিলেন না। আবার এটাও বলা হচ্ছে যে, ঝন্টু প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সঠিক বাছাই ছিলেন না। যে ঝন্টু ২০১২ সালে প্রথম সিটি নির্বাচনে ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই তিনিই এবার প্রায় সমসংখ্যক ভোটে পরাজিত হয়েছেন। আর জাতীয় পার্টির যে বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান সেবার তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট, সেই তিনিই এবার প্রায় ১ লাখ ভোটের ব্যবধানে ঝন্টুকে পরাজিত করলেন। অথচ আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায় থেকে ঝন্টুর বিজয়ের ব্যাপারে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল ঝন্টুর প্রতীক নৌকা, যে নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক, আওয়ামী লীগের প্রতীক। তাছাড়া পাঁচ বছরের রংপুরের উন্নয়নের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনেক কিছু এনে দিয়েছেন। এ সবই সত্য, কিন্তু তাতে ঝন্টুর জয় আসেনি।
জানা যাচ্ছে, মোস্তাফিজুর রহমান জাতীয় পার্টির রাজনীতি ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন। ২০১২ সালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীর সাথে নির্বাচনে তার ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছিল। নইলে সে নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী যিনিই হতেন তিনিই জয়ী হতেন। তাই যদি হয়, তাহলে ধরে নেয়া যায় যে, এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তাই নির্বাচনে প্রধান নিয়ামক বিষয় ছিল, নৌকা বা আওয়ামী লীগ নয়- ধানের শীষ বা বিএনপি তো নয়ই। এবার এরশাদের আপন ভ্রাতুষ্পুত্র, ২০০৮-এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত মকবুল শাহরিয়ার আসিফ তার নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছেন। তবে, স্থানীয় বা আঞ্চলিক নির্বাচনে এরশাদের প্রভাব হয়ত কাজ করলেও করতে পারে, কিন্তু এরশাদ জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন না।
এ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে জোরালো কোনো আশাবাদ ছিল না। বলা হয়, রংপুর কখনোই বিএনপির জন্য উল্লেখযোগ্য সমর্থনের ক্ষেত্র ছিল না। বিএনপি প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা আগেরবারও নির্বাচন করেছিলেন। সেবার পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট। এবার তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট। বিএনপি প্রার্থী পাঁচ বছর পর ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন, এটাকেই হয়ত বিএনপি তাদের সাফল্য হিসেবে দেখছে। জানা যায়, বিএনপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা বেশ ভালোই ছিল। তবে কোনো কোনো সূত্রে দলীয় কোন্দল ও স্থানীয় পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের অসহযোগিতাকে তার পরাজয়ের কারণ বলা হয়েছে। এ সব মিলিয়ে বাবলার নির্বাচনী প্রচার কমিটির পক্ষ থেকে যতটা জোর দিয়ে জয়ের ব্যাপারে আশা ও আস্থা ব্যক্ত করা হয়েছিল তার বাস্তব প্রকাশ পরিলক্ষিত হয়নি। কেউ কেউ বলেছেন, তিনি দেওয়ানবাগীর পীরের অনুসারী হওয়ায় জনগণের মধ্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। উল্লেখ্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রার্থী এ টি এম গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ২৪ হাজার ভোট। কেউ কেউ একে চমক বলে মনে করছেন। যাহোক, দমন-মামলায় কাবু বিএনপির জন্য রংপুর নির্বাচনে এটুকু সান্ত¡না যে এবার ধানের শীষের ভোট কিছু বেড়েছে আর নৌকার ভোট কিছু কমেছে।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর বিষয়টি দাঁড়াচ্ছে এই যে, সরকার এটাকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সর্বশেষ নজির হিসেবে হাজির করবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে গাজিপুর, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আশা করা হচ্ছে যে, সেগুলোতেও একইভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচন কমিশন সফলতার পরিচয় দেবে। বলাবাহুল্য, একটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আর সারাদেশে নির্বাচন আয়োজন এক বিষয় নয়। বড় পরিসর এবং যেখানে রাষ্ট্রক্ষমতার বিষয় জড়িত, যেখানে দলীয় সরকারের অস্তিত্বের প্রশ্ন, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কী করে সেটাই হচ্ছে দেখার প্রধান বিষয়।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আবারও প্রমাণ করল যে, বাংলাদেশে নির্বাচন গণতান্ত্রিক ও সুষ্ঠু হবে কিনা তা সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর করে আর কারো নয়, সরকারের ওপর। বাংলাদেশের সচেতন মানুষ মনে করে, সরকার যদি নির্বাচন কমিশনকে সত্যই পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়, সিইসিকে যদি কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ পর্যায়ের ‘চিড়িয়া’ বানানো না হয়, সরকার যদি কু-অভিসন্ধি নিয়ে বড় কিছু হাসিল করতে না চায়- তাহলেই শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও দেশের মানুষকে তখন আর ‘মডেল নির্বাচন’ শব্দটি খুঁজে বেড়াতে হবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন