ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
বর্তমানে আমাদের শিক্ষাঙ্গনে যে সকল সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া অন্যতম। আমাদের দেশে এটা অহরহ হচ্ছে। এরূপ ঘটনা কেবল অনাহুত নয়, এটা ছাত্র অভিভাবক এবং দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। আগামীতে এরকম হবে না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। প্রশ্নপত্র তৈরি, বিতরণ ইত্যাদি কয়েক ধাপে করতে হয়। এই কার্যকলাপে কিছু লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে। পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্ন জানা একটি লোভনীয় ব্যাপার। আর এই লোভের সুযোগ থেকে বিরত থাকা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। আধুনিক প্রযুক্তিও এই অপকর্মের জন্য এক ধরনের সহায়ক হতে পারে। লোকের লোভের মাত্রা নাই। আবার সততাও একটি সীমা পর্যন্ত থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আমাদের আরও যতেœর সাথে করা উচিৎ যাতে অসৎ লোকেরা তা ফাঁস করার কোনো সুযোগ না পায়। আমাদের বর্তমান কালের পদ্ধতি পরিহার করে একটি নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। বর্তমানে এসএসসির চ‚ড়ান্ত পরীক্ষার প্রায় তিন মাস পূর্বে একটি টেস্ট পরীক্ষার প্রচলন প্রত্যেক স্কুলে রয়েছে। সকল স্কুলের অধীনে তাদের নিজ দায়িত্বে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ সিলেবাসে হয়ে থাকে। এর প্রস্তুতি নিজ স্কুলের শিক্ষক দ্বারা সরাসরি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এরকম যে কোনো অনুমোদিত স্কুলের একটি প্রশ্নপত্র চ‚ড়ান্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়তো সঙ্গত হবে। সকল অনুমোদিত স্কুলের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থেকে লটারির মাধ্যমে একটি প্রশ্নপত্র পরীক্ষার দিন গ্রহণ করা যেতে পারে। পরীক্ষার প্রাক্কালে লটারির মাধ্যমে পাওয়া প্রশ্নপত্রটি সকল পরীক্ষা সেন্টারে জানানো যেতে পারে। বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হলে একটি আয়োজনের মাধ্যমে নমুনাস্বরূপ করে দেখা যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।