পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেনা দেশের শেয়ারবাজার। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক টানা চার সপ্তাহ কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। শেষ সপ্তাহে (১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর) ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে প্রায় এক শতাংশ এবং লেনদেন কমেছে প্রায় দুই শতাংশ। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১৮ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ। একই সময়ে অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ কমেছে ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ১০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছিল ১২ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯২ শতাংশ।
বিগত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া মোট ৩৩৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে ৯৩টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ২১৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।
শেষ সপ্তাহে মূল্যসূচকের সঙ্গে কমেছে মোট ও দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৩৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৮০ শতাংশ।
অপরদিকে শেষ সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ১১ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৭ দশমিক ৭৭ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এ ছাড়া বাকি ৪ দশমিক ২২ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার।
এদিকে গত সপ্তাহে মূল্যসূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণ ফোনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ৬০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল টিউবস। লেনদেনে এরপর রয়েছে- আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আমরা নেটওয়ার্ক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।