Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট

গোপালগঞ্জ শহরটি যেন একটি জঞ্জাল, ভাগাড় ও আবর্জনার শহরে পরিণত হয়েছে বললেও কম বলা হবে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে দেওয়া হয়েছে তথাকথিত উন্নয়নের নামে। এলাকাবাসীকে চরম থেকে চরমতরভাবে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। দেখলে মনে হয়, যেন ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলো ফেলে রাখা হয়েছে। পাইপ-ড্রেন নির্মাণের নামে দুর্গন্ধযুক্ত খানাখন্দ বানিয়ে চিকুনগুনিয়ার জন্মস্থান সৃষ্টি করে ফেলে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। যেন দেখার কেউ নেই। আমাদের প্রশ্ন, এখানে আসলে হচ্ছেটা কী? কোনো উন্নয়ন তো দেখতে পাই না। এখানে হাঁটারও অনুপযোগী পথ, দুর্গন্ধে নাকে কাপড় দিয়ে হাঁটতে হয়। এর থেকে গ্রামের মেঠোপথও অনেক ভালো। এমনিতেই শহরের ভেতরকার রাস্তাগুলো খুবই সরু। দুটি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারে না। বলা হয়, গোপালগঞ্জ শহরের উন্নয়নের রূপকার অমুক-সমুক। কোথায় উন্নয়ন হচ্ছে? আমরা দুর্নীতির উন্নয়ন দেখতে চাই না। সত্যিকার উন্নয়ন চাই। কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, অতিসত্বর গোপালগঞ্জের রাস্তাঘাট মেরামত করুন।
রবিউল ইসলাম
জনতা রোড, গোপালগঞ্জ।


ফ্লাইওভারে সুফল মিলছে না কেন?
ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পরও রাস্তা উন্মুক্ত না থাকায় পূর্ণ সুফল পাচ্ছে না যাতায়াতকারীরা। শান্তিনগর ও রাজারবাগ থেকে সব গাড়ি ফ্লাইওভার দিয়ে নামতে হয় ইস্কাটনে বাংলামটর মোড়ের আগে। সেখান থেকে বাঁদিকে শাহবাগ, ডানদিকে ফার্মমেট ও সোজা ইস্টার্ন প্লাজার দিকে যেতে হলে বাংলামটর মোড়ে বিশাল যানজটে পড়তে হয়। মগবাজার থেকে বাংলামটরের রাস্তার দক্ষিণ পাশে গড়ে উঠেছে মোটরসাইকেলের অগণিত দোকান ও গ্যারেজ। এই দোকানগুলোর সামনের ফুটপাত ও রাস্তার মাঝখানে মোটরসাইকেল রেখে মেরামত করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া সড়কটির দক্ষিণ পাশেই অসংখ্য নানা ধরনের গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় দেখা যায়। ফলে রাস্তাগুলো সরু হয়ে গাড়ি চলাচলে মারাত্মকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। শাহবাগ যেতে বাঁদিকে যে লেন তৈরি করা হয়েছে, তা সার্বক্ষণিক খোলা থাকার কথা থাকলেও ৮০ শতাংশ সময় সচল থাকে না। কারণ পাশের দোকানগুলো রাস্তার মধ্যে মোটরসাইকেল রেখে মেরামত করে থাকে প্রতিনিয়ত এবং মোড় পার হতে অন্য যানবাহনগুলো বাঁদিকে চাপিয়ে দাঁড় করে রাখে। যদি বাঁ লেনটি ব্যারিকেট দিয়ে তৈরি করা হয় এবং লেনের মধ্যে কোনো গ্যারেজ না রাখা হয়, তাহলে শাহবাগগামী যানবাহনগুলো সহজেই রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। ফলে ফ্লাইওভারের লুপ দিয়ে গাড়ি নামলে আর কোথাও যানজট থাকবে না।
এএসএম মুস্তাফিজুর রহমান
ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন