Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গোদাগাড়ীতে গবাদি পশু পালন, ভাগ্য ফিরেছে অনেকের

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মো: হায়দার আলী, গোদাগাড়ী (রাজশাহী): রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ব্যপক নজরদারী, সহযোগিতার কারণে গত ৫ বছরে পবাদিপশু, হাঁসÑমুরগী, কবুতরের সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। শিক্ষিত বেকার যুবকÑযুবতীর, গৃহবধু, কৃষক, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিত, স্বাস্থ্যসন্মতভাবে গবাদিপশু পালন, মোটাতাজাকরণে দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলার গোদাগাড়ী পৌরসভা, কাঁকনহাট পৌরসভা, মাটিকাটা, চর আষাড়িয়াদহ, গোগ্রাম, মোহনপুর, দেওপাড়া, পাকড়ী, গোদাগাড়ী ও রিশিকুল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেশী ও শংকর (উন্নত) জাতের গবাদিপশু পালন করা হচ্ছে।
গোদাগাড়ীর বিভিন্ন গাভী ও ছাগল খামারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. সাইফুল ইসলামসহ অফিসের কর্মকর্তা খুবই আন্তরিক, তারা মাঠ পর্যয়ে গিয়ে পরামার্শ উপদেশ দেন এমন কি অফিসে গিয়েও আমরা ভাল সহযোগিতা পাই বলেই আমরা দিন দিন খামারে উন্নতি করছি। বর্তমানে গাভীর ৯৬টি, ছাগলের খামার ৮১ টি, ভেড়া খামার ৬৯ টি, হাঁসের খামার ১৮টি, লেয়ার মুরগীর খামার ৪ টি, ব্রয়লার মুরগীর খামার ৮০ টি, কবুতরের খামার ৭টি, পোল্ট্রি হ্যাচারী ১টি, মহিষ খামার ৭৮ টি রয়েছে। প্রত্যেকটি খামারে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করি, তারাও আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, যথাসময়ে ব্যবস্থা পত্র, পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে দিন দিন গবাদিপশু পালন বৃদ্ধি পাচ্ছে খামারীরা লাভবান হচ্ছেন। দেওপাড়া ইউনিয়নের গবাদিপশু পালনকারী আজিজার রহমান জানান, আমার বাড়ী ১৭টি ষাঁড় আছে বছরে ৩ বার পরিবর্তন করে মাসে খাবার, লেবার ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে ২০ হাজার টাকা আয় হয়, গরু মোটা তাজাকরণ করার বিষয়টি বেকার যুব সমাজসহ বিভিন্ন বয়সের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। রাজাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ঈদ মৌসুমে ৪টি গরু বিক্রি করে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। স্বল্প সময়ে বেশী লাভ হাওয়ায় গরু মোটাতাজা করার প্রকল্প বেশ জনপ্রিয় হয়েছে গ্রামে পশু হলেও পলন করা চেষ্টা করছেন। গোদাগাড়ী প্রাণিসম্পদ অফিস কমিউনিটি ক্লিনিকের মত ইউনিয়ন পর্যায়ে সম্প্রসারণ, লোকবল বৃদ্ধি, যানবাহনের সুবিধা বাড়ালে প্রাণিসম্পদ সেক্টরে আরও উন্নয়ন সম্ভব। চাহিদা পূরণে চেষ্টা করা হচ্ছে ঘাটতি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পূর্বে এ উপজেলায় ১০ হাজার ২শ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ছিল এখন বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার ৬শ ৫৫ জনে। প্রণিসম্পদের আর্থিক মূল্যমান ছিল ৮শ ৩০ দশমিক ২৩ কোটি টাকা বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫শ ২০ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা, তিনি আরও বলেন, নিরাপদ গোমাংশ উৎপাদনে গরু হৃষ্টকরণ (মোটাতাজা করণ) প্রক্রিয়া বেশ সাড়া পড়েছে সুস্থ্য, সবল ও বাড়ন্ত গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় এবং সুষম খাদ্য সরবরাহ করলে শরীরে অধিক পরিমান গোশত বৃদ্ধি পায়, ফলে স্বল্প পূঁজিতে কম সময়ে অধিক লাভ হয়, দারিদ্র বিমোচন, বেকারত্ব দূর হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ