পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা সেনানিবাসে ট্রানজিট পাস ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। এ নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট সৈনিক ক্লাব এম.পি চেকপোস্ট এবং মাটিকাটা-জিয়াকলোনী-এমপি চেকপোস্ট দিয়ে বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের চলাচল বন্ধ থাকবে। এই পথে চলতে হলে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড থেকে ট্রানজিট পাস সংগ্রহ করতে হবে। সেনানিবাস এলাকায় নোটিশ টাঙিয়ে এই নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে আগামী ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে পাস ছাড়া সেনানিবাসের অভ্যন্তরে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড থেকে সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশের অনুমতি পাস সংগ্রহ করতে হবে। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তিবর্গের বাসায় অবস্থান করা বেসামরিক ব্যক্তিবর্গের (আত্মীয়/কেয়ারটেকার/গার্ড/ড্রাইভার/কাজের লোক ইত্যাদি) জন্য বাড়ির মালিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অস্থায়ী আবাসিক পাস সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এতে আরও বলা হয়, সেনানিবাস এলাকায় কোনো বাসায় পলাতক/সাজাপ্রাপ্ত আসামি অবস্থান করলে এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বাড়ির মালিককে বহন করতে হবে। এছাড়া সেনানিবাস এলাকায় অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করলে বেআইনি প্রবেশের জন্য যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সেনানিবাস এলাকায় কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। নোটিশের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এটা এর আগেও করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও নোটিশ দেয়া হয়েছে। বেসামরিক জনগণ যারা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে যাতায়াত করেন, এই নোটিশের মাধ্যমে তাদের আবার বিষয়টি জানানো হয়েছে, যেন সবাই সতর্ক হয়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আইন ১৯২৪ অনুযায়ী, বেসামরিক মানুষ সেনানিবাস এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়। ক্যান্টনমেন্ট প্রবেশের জন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড থেকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং বিস্তারিত তথ্য এবং দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবিসহ জমা দিতে হবে। তারপর ডিজিএফআই কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হবে। তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ভেতরে কেউ তার অতিথিকে প্রবেশ করাতে চাইলে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অবশ্যই অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। নিচের লিংকে ট্রানজিট পাসের ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন http://www.canttboard dhaka.gov.bd/images/files/pdf/transit_passl_application_form.pdf পূরণ করা ফরমের কপির সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং দুই কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবিসহ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ এর মধ্যে জমা দিতে হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিসে। সেনা কর্তৃপক্ষের ভ্যারিফিকেশন এবং অন্যান্য দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে শেষে ট্রানজিট পাস সংগ্রহ করতে হবে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।