Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সরকারি চাকরির আবেদন ফি ১৫০০ টাকা!

ফি মুক্ত আবেদন চালুর দাবি-চাকরি প্রত্যাশীদের

প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৫:০০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

 

বর্তমান বাজারে চাকরি যে এক সোনার হরিণ। চাকরির জন্য প্রার্থীকে পরীক্ষা দিতে হয়। আর সেই পরীক্ষার জন্য গুনতে হয় ফি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির পরীক্ষা ফি না থাকলে ও সরকারি চাকরিতে সে সুযোগ নেই। তার জন্য গুনতে হয় টাকা। বেকার ছাত্র-ছাত্রীর জীবনে এটি অনেকের কাছে বোঝার হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকের মতো বিনা ফি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে চাকরি প্রত্যাশীরা।
সরকারি চাকরিতে এই ফি’র ক্ষেত্রেও আবার ভিন্নতা রয়েছে। একেক মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার ফি একেক রকম। এ বিষয়ে কোনও নীতিমালাও নেই।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, আমার মতে পরীক্ষার জন্য মিনিমাম যেটুকু খরচ হয়, সেটাই নেওয়া উচিত। এর বেশি নয়। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের বা তার অধীন দফতরের নিয়োগ পরীক্ষা যদি বিভাগীয়ভাবে নেওয়া হয়, তাহলে খরচ অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা গেছে, একেক বেতন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষায় জন্য একেক হারে ফি নেওয়া হয়। সাধারণত, গ্রেড ১৭ থেকে গ্রেড ২০ পর্যন্ত পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা, দশম গ্রেডে ৫০০ টাকা, নবম গ্রেডে এক হাজার টাকা নেওয়া হয়। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষায় এক হাজার টাকাও ফি নেওয়া হয়ে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগত ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের বিজ্ঞপ্তিতে অষ্টম এবং দশম গ্রেড বেতন স্কেলে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ফি ধরা হয়েছে এক হাজার টাকা। একই বিজ্ঞপ্তিতে ১৩ গ্রেড এবং ১৪ গ্রেডে পরীক্ষার ফি ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের গত ১০ ডিসেম্বরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে ( গ্রেড ১০) পরীক্ষার ফি এক হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এই একই গ্রেডে আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার ফি ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা। ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার ফি চাওয়া হয়েছে দেড় হাজার টাকা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশেনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিবিসিএস পরীক্ষার জন্য ফি নেওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা। ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা হলেও ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে ৭০০ টাকা করে নেওয়া শুরু করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। পরীক্ষার ফি বৃদ্ধির হার প্রার্থীকে বিপাকে পড়েছে সদ্য পাস করা চাকরি প্রত্যাশী তানিয়া বলেন, সরকারি চাকরির পরীক্ষার ফি নির্দিষ্ট টাকায় সীমাবদ্ধ থাকে না। ব্যাংক থেকে পে-অর্ডার করতে হয়, এ জন্য ব্যাংককে চার্জ দিতে হয়। এর সঙ্গে আবার ডাকটিকিট যুক্ত করতে হয়, রিটার্ন ডাকটিকিটসহ। সব মিলিয়ে ফি’র সঙ্গে আরও ১০০ টাকা খরচ হয়ে যায়। একহাজার টাকা পরীক্ষার ফি হলে ১১০০ টাকা দিতে হয় শুধুমাত্র একটি আবেদনের জন্য। একটি আবেদন করে বসে থাকলে যে চাকরি পাবো, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেজন্য কয়েক জায়গায় আবেদন করতে হয়। প্রতিমাসে এরকম আবেদন করতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। আমাদের পক্ষে এই খরচ খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসিরুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের তো সরকার কোনও টাকা দেয় না। আমাদের নিজেদেরই আউটসোর্স করে আইবিএ’র মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে হয়। আবার তার মধ্যে আছে টেলিটকের চার্জ। এসব কিছু মিলিয়ে আমাদের পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করতে হয়।
পানি উন্নয়নের মহাপরিচালক মমতাজ উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগত এধরেন হওয়ার কথা নয়। তার পরও দেখে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবো।

 



 

Show all comments
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১:১৩ এএম says : 0
    কি আর বলবো,,,, এটাতো বেকার নির্যাতন,,, যার ভুক্তভোগী আমি নিজেও,,,আমার মতো বেকারেরা
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Akbar ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০৯ পিএম says : 0
    রাষ্ট্রের দায়িত্ব হল চাকুরীর নিশ্চয়তা ! সেখানে চাঁদাবাজি . ...
    Total Reply(0) Reply
  • Md Faruk Hossen ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০৯ পিএম says : 0
    r8
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ