ষড়ঋতুর হিসাবে পৌষ মানেই শীতকাল। পৌষ মাসের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেই ‘স্বাভাবিক’ শীতের দাপট আর হাঁড় কাঁপুনি শীত কই! সার্বিক তাপমাত্রার গড় হিসাবে শীতের বাস্তব অনুভূতি দেশের অধিকাংশ এলাকায় নেই। সবচেয়ে বড় কথা সুদূর উত্তরের সাইবেরীয় হিমশীতল বায়ুমালা আসছে না। তাছাড়া ঊর্ধ্বাকাশের হিমেল জেটবায়ু নিচের দিকে তীব্রবেগে নামছে না। শুধু নদ-নদী অববাহিকা ও অনেক জায়গায় মাঝরাত থেকে সকাল অবধি মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাই শীতের উপস্থিতিকে জানান দিচ্ছে। তবে গতকাল (শুক্রবার) কুয়াশার পরিধি ও ঘনত্ব তুলনামূলক কম ছিল। হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশায় নৌপথ, সড়ক ও রেলপথে যাত্রা ব্যাহত ও বিলম্বিত হচ্ছে। ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। কুয়াশার ঘোরে ফ্লাইট চলাচলেও বিলম্ব ঘটছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে শীতের কামড় বাড়তে পারে এমনটি পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা ও তেঁতুলিয়ায় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ২৯ ডিগ্রি সে.। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ এবং ১৬ ডিগ্রি সে.।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় একটি উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।