পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ধানকাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। এসময় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালি ইউনিয়নের সোনাখালি গ্রামে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। নিহতরা হলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার চালিতাবাড়ি গ্রামের তোরাব শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৪৮) ও একই গ্রামের শাহজাহান শেখের ছেলে পলাশ শেখ (৩২)। নিহতরা রহিম খানের পক্ষের। তবে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এটা সংঘর্ষ নয়, এটা একপক্ষের পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করেছেন। তবে এই সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে উভয়পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।
আহতরা হলেন, কবির শেখ, মজিবর শেখ, হেমায়েত খান, জাহিদ শেখ, শিউলী ও নাজমা। এদের মধ্যে প্রথম দুজনকে আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য চারজনকেমোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি এই প্রতিবেদককে বলেন, ইব্রাহিম শেখ ও পলাশ শেখকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়। অন্যদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনা এক পক্ষের দাবি করে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম খান এই প্রতিবেদককে বলেন, সোনাখালি গ্রামের আব্দুর রহিম খানের সাথে প্রতিবেশি শহীদুল খানের এক বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে চলতি আমন মৌসুমে রহিম খান আমনের চাষ করে। শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ প্রতিপক্ষ শহীদুল খান ১২/১৪ জন শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে যায়। এসময় রহিম খানের আতœীয় স্বজন ধানকাটার খবর পেয়ে তাদের বাধা দিতে যায়। এসময় শহীদুলের লোকজন তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি কাচি নিয়ে হামলা চালায়। এতে রহিম খানের দুই আতœীয়ের মৃত্যু হয়। আহত হয় অন্তত ৭/৮ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই জমির বিরোধ মেটাতে চলতি মাসে পুঁটিখালি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহচান মিয়া শামীম দুই পক্ষকে নিয়ে বসতে চাইছিলেন। সেই অবস্থায় শহীদুল খান এই হামলা চালালেন বলে দাবি তার।
পুঁটিখালি ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহচান মিয়া শামীম বলেন, জমি নিয়ে রহিম ও শহীদুল খানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিয়ে বসার কথা ছিল। কিন্তু তারা কেন কার উসকানিতে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ল তা বুঝতে পারছিনা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় এই প্রতিবেদককে বলেন, ধানকাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সোনাখালী গ্রামের শহিদুল খান (৪৫), মজিবুর খান (৬০), ওহাব খান (৬৫), বারেক খান (৬২), মজিবুুুর খানের ছেলে ইব্রাহীম খান (২৭) এবং নূর ইসলাম (৩০) আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।