পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রখ্যাত আলেম ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী (হাটহাজারী) বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম কোনো নির্বাচনমূখী রাজনীতিক সংগঠন নয়। কাউকে সরকারে বসানো কিংবা সরকার থেকে নামানো হেফাজত ইসলামের কাজ নয়। হেফাজতে ইসলাম হলো ঈমান-আকিদা ভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন। সেদিন আমরা সচিবালয় দখল কিংবা ক্ষমতা দখল করতে শাপলা চত্বরে জীবন দেইনি। সেদিন রক্ত-দিয়েছি প্রাণ দিয়েছি আমাদের ইসলাম এবং বিশ্ব নবীকে কটাক্ষকারীদের বিচার দাবিতে। ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা চাঁদপুরের প্রধান ব্যবসায়িক এলাকা শহরের পুরাণবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ৪৪তম ঐতিহাসিক ইসলামী মহাসম্মেলনে তিনি একথা বলেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বয়ান রাখতে গিয়ে জুনাইদ বাবুনগরী আরো বলেন, আমাদের আলম সমাজের ক্ষমতার দরকারে নেই। মহান আল্লাহ আলেমদের অনেক সম্মান দিয়েছেন। আমরা কোনো পার্টি কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামের ভূমিকা নেই। যারা আমার ইসলাম এবং নবীকে কটাক্ষ করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো। এতে যদি আমাদের আরো প্রাণ দিতে হয় তাতেও প্রস্তুতি রয়েছি।
তিনি বলেন, আজকাল মত প্রকাশের নামে আমাদের নবীকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী এটাকে সমর্থন করছেন। আমরা যারা মুসলমান তাদের কাছে নবী মুহাম্মদ (সঃ) প্রাণের প্রিয়। আমাদের নবীজীকে নিয়ে কেই খারাপ কথা বলবে তা আমাদের হৃদয়ে আঘাত লাগে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি, আগামীতে নবীজীকে কটাক্ষকারিদের মুত্যুদÐের বিধান রেখে সংসদে বিল পাশ করা হোক।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড একথা আমরা সবাই বলি। তবে আমি মনে করি সুশিক্ষাই হলো জাতির মেরুদন্ড। আর সুশিক্ষা হলো কোরআনের শিক্ষা। আজ ৯০ ভাগ মুসলমানের এ দেশে ইসলাম নিয়ে সু² ষড়যন্ত্র চলছে। তারা এখন আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সেই ষড়যন্ত্র ঠকিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের সন্তানদের পাঠপুস্তকে রতে- রথ কিংবা ঋ-তে ঋষি লেখা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো সেখানে কেনো আ-তে আল্লাহ কিংবা রতে-রাসুল লেখা হচ্ছে না। তাহলে আমাদের নতুন প্রজন্মকে কি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের কিছ কিছুু বুদ্ধিজীবী কাওয়ামী মাদ্রাসাগুলোকে জঙ্গিদের আস্তানা বলার চেষ্টা করেন। আমরা তাদের স্পস্ট বলতে চাই কাওমী মাদ্রাসা হলো আলেমদের ঘাঁটি। এখানে কোরানের শিক্ষা দেয়া হয়।
বাহাদুরপুর পীর সাহেব মাওলানা মবিন উদ্দিন আহমেদ নাওশীন মিয়ার সভাপতিত্বে সমাপনি দিনে মক্কা শরীফ, সৌদিআরবের আলেম আওলাদে রাসূল (সাঃ) শাইখ নাছির বিল্লাহ মক্কি (দাঃ বাঃ) সহ আরো বহু আলেমগণ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।