Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কলেজ অব ফিজিওথেরাপির বরাদ্দকৃত জমি উদ্ধার হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, কলেজ অব ফিজিওথেরাপির জন্য বরাদ্দকৃত জমি উদ্ধার করা হবে। তিনি বলেন, জমিতে যে বস্তি রয়েছে (মহাখালীর সাততলা বস্তি) সেটি উচ্ছেদ করে কলেজ প্রতিষ্ঠা, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পীচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট, প্রোস্থেটিস্ট ও অর্থোটিস্ট এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টদের জন্য কাউন্সিল এবং নিয়োগবিধি নিয়ে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। গতকাল শুক্রবার সকালে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রিহ্যাবিলেটেশন প্রফেশনালদের জন্য প্রথম আন্তজার্তিক সম্মেলনের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল “এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য সমন্বিত পুনর্বাসন সেবা নিশ্চিতকরন”। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসিরুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অটিজম ও নিউরোডেলেপম্যান্ট ডিজঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপিএ’র এ্যাডভাইজর ও সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজ্্ড (সিআরপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা ভেলরি এ টেইলর।
ভেলরি এ টেইলর বলেন, গত কয়েক বছরে এই ফিজিওথেরাপিস্টদের পেশাগত উন্নয়ন হয়েছে তা দৃশ্যমান। ১৯৬৯ সালে যখন আমি বাংলাদেশে আসি, আমার মনে হয় আমিই একমাত্র ফিজিওথেরাপিস্ট সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে এই সেবা দেয়া শুরু করি। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের অল্প কিছু ছাত্রছাত্রী ফিজিওথেরাপি কোর্সে অধ্যয়নরত ছিল। বর্তমানে এই পেশার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে এখন প্রতি বছর ৫০ জন ফিজিওথেরাপি, ৪০ জন অকুপেশনাল থেরাপি ও ৩০ জন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি কোর্সে পড়ছেন। পাশাপাশি মাস্টার্স ইন ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড মাস্টার্স ইন রিহ্যাবিলিটেশন সাইন্স চালু আছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দেশে পিএইচডিতেও অধ্যয়নরত আছেন।
শুক্র ও শনিবার দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিশ্বের ১২টি দেশের চিকিৎসা ও পূনর্বাসন পেশাজীবী ও প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করছেন। তাদের বক্তব্যে পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব উঠে আসে। বক্তারা বলেন ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে স্বাস্থ্যসেবায় অনেক এগিয়ে গেলেও পূনর্বাসন চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সমন্বিত পূর্নবাসন চিকিৎসা বাস্তবায়ন জরুরি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ