পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মোট রাজস্বপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৪০ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা হতে পারে। যা চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে যা ৫২ হাজার ৭৮৪ কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দুই লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে তা আদায় করা হবে নতুন কোনো কর আরোপ না করেই। করের আওতা বাড়িয়ে এই টার্গেট পূরণ করা হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবি আর) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরে মোট রাজস্বপ্রাপ্তির যে লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব করা হচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হবে এনবিআরকে। এনবিআরকে আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা দুই লাখ ৫৬ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। এনবি আর-বহির্ভূত খাত থেকে আগামী অর্থবছরে রাজস্বপ্রাপ্তি ধরা হচ্ছে ১১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে যা রয়েছে আট হাজার ৬২২ কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তি প্রাক্কলন হতে পারে ৩৩ হাজার ১১২ কোটি টাকা, চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে যা রয়েছে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, আগামী অর্থবছরে এনবিআরকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে। এই খাত থেকে এক লাখ ২০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আদায়ের খাত হিসেবে রয়েছে আয় ও মুনাফার ওপর কর। এ খাত থেকে আগামী অর্থবছরে ৯৪ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হতে পারে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আগামী অর্থবছরের বাজেটটি দেওয়া হবে আগামী বছরের জুন মাসে। নতুন অর্থবছরের শুরুর ছয় মাস পরই নির্বাচন। তাই আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট এখন পর্যন্ত যা নির্ধারণ করা হয়েছে তা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১৮ ভাগের চেয়ে বেশি। এটি কোনো বিশাল টার্গেট নয়। কারণ, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব প্রাপ্তির টার্গেট এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৮ দশমিক ৬২ ভাগ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বছর শেষে এই রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে না। তবে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা কম হতে পারে। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে নতুন করে কোনো আরোপ করার তেমন সম্ভাবনা নেই। তাই রাজস্ব আদায় কিছুটা কমতে পারে।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, আগামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার চার লাখ ৬৮ কোটি টাকা হবে। তবে এই বাজেট কোনো নির্বাচনী বাজেট হবে না। সরকারের বিভিন্ন সংস্কারকাজ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতার জন্য এই বাজেট দেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।