পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের যেকোনো উন্নয়ন কাজেই সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডেও কাজ করছে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যখনই সরকার গঠন করেছি, চেয়েছি সশস্ত্র বাহিনীকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে আমরা সবশেষ প্রযুক্তি ও আধুনিক সরঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিত করেছি এবং সর্বোত্তম প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ স্থাপনা তৈরি করেছি। একটি পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সদ্য পরিবর্তনশীল সশস্ত্র বাহিনীর সামর্থ্যকে পুনর্মূল্যায়ন করে যাচ্ছি এবং একবিংশ শতাব্দীর বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ফোর্সেস-গোলের আলোকে সব পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা সদা সচেষ্ট। দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে কাজ করছে। দুর্যোগ-দুর্বিপাকেও অগ্রভাগে থাকছে সশস্ত্র বাহিনী। কোনো কঠিন কাজে দরকার পড়লেই এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কেবল শহরভিত্তিক নয়, গ্রামভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে কোর্সে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। জাতির নিরাপত্তার নিশ্চিতকল্পে এনডিসির পাঠ্যক্রমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি অন্তর্ভূক্ত থাকায় প্রধানমন্ত্রী গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন । বঙ্গবন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতা, শ্রেষ্ঠ দার্শনিক। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বলে উল্লেখ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী বীরবিক্রম। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী তাঁর স্বাগত ভাষণে সফলতার সাথে কোর্স সম্পন্ন করার জন্য কোর্সে অংশগ্রহণকারী সকল দেশী ও বিদেশী কোর্স মেম্বার ও কোর্সের সাথে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও ষ্টাফ অফিসারগণকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । বক্তব্যের শুরুতেই কমান্ড্যান্ট এনডিসি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। এ বছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৯ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৫ জন কমোডর এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২ জন ঐঁ¡ষ কমোডর ও ৩ জন গ্রæপ ক্যাপ্টেন, সিভিল সার্ভিসের ১১ জন (যুগ্ম সচিব), বাংলাদেশ পুলিশের ২ জন ডিআইজি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ জন ডিজি সহ বাংলাদেশের সর্বমোট ৫৩ জন প্রশিক্ষণার্থী কর্মকর্তা ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০১৭ এ অংশগ্রহণ করেছেন । এছাড়া এই কোর্সে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে ভারতের৩ জন, শ্রীলংকার ৩ জন, নাইজেরিয়ার ১০ জন, সৌদি আরবের ২ জন, এবং মিশর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, নাইজার, ওমান, পাকিস্তান, তানজানিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ১ জন করে মোট ২৭ জন বিদেশী প্রশিক্ষনার্থীসহ সর্বমোট ৮০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপকবৃন্দ, স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মিলিটারী/ডিফেন্স এ্যাটাচেগণ উপস্থিত ছিলেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।