পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এনজিও ব্যুরোর বিধিসম্মত একধাপ-ভিত্তিক সেবা দানের ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে এবং রোহিঙ্গা ত্রাণ প্রকল্প অনুমোদনের অহেতুক জটিলতা দুরের আহবান জানিয়েছে স্থানীয় এনজিও এবং নাগরিক সমাজের ফোরাম (সিএসও-এনজিও ফোরাম)। তারা বলেন, এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন প্রক্রিয়ার চলমান বিধান অব্যাহত থাকলে অচিরেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। ডিপথেরিয়া এবং ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। একই সঙ্গে এই বিধানের ফলে এনজিওসমূহ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে আনতে বাধ্য থাকবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে এনজিও ব্যুরোর বিধিসম্মত কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দেয়ার উপর জোর দেয়ার পাশাপাশি ৬টি দাবী জানানো হয়।
সংগঠনের কো- চেয়ারম্যান এবং পালস্ এর নির্বাহী পরিচালক আবু মোর্শেদ চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত আগস্ট থেকে রোহিঙ্গারা যখন কক্সবাজারে প্রবেশ করতে শুরু করেন, তখন থেকে বাংলাদেশে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর জরুরি প্রকল্প হিসেবে অনুমোদন নিয়ে কাজ করে আসছে। স্থানীয়ভাবে জেলা প্রশাসক এবং রিলিফ কমিশনারের তত্ত¡াবধান ও সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। এনজিও ব্যুরোর কর্মকর্তারা অকুস্থল পরিদর্শন ও অবস্থান করে এ কাজে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু নভেম্বরের ২য় সপ্তাহে রিভিশন বা পর্যালোচনা করে প্রকল্প অনুমোদন প্রস্তাবনা এবং নতুন প্রকল্প প্রস্তাবনা, যা এফডি-৭ নামে পরিচিত তার অনুমোদন ধীর হয়ে যায়। এনজিও ব্যুরো আগের মতো বিধি অনুসারে সব ধরনের অনুমোদন দেয়া থেকে বিরত থাকে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে সব রোহিঙ্গা ত্রাণ সম্পর্কিত প্রকল্প প্রস্তাবনা দেশীয় এনজিও হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা শাখার পূর্ব অনাপত্তি নিতে হবে। আর যদি বিদেশি এনজিও হয় তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই জায়গা থেকে অনাপত্তি নিতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে এনজিও সহকর্মীদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো এনজিও অনাপত্তিপত্র পায়নি। ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় ও স্থানীয় এনজিগুলো।
তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে, রিভিশন প্রকল্পগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন করা না গেলে, ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে এবং এর সঙ্গে জড়িত ৩ থেকে ৪ হাজার কর্মীর বেতন দেয়া যাবে না।
সময় ক্ষেপনের কারণ দেখিয়ে দাতাসংস্থাসমূহ তাদের জরুরী তহবিল বাতিল এবং প্রকল্প অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত অর্থ ছাড় করতে চাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেন-কোস্ট ট্রাস্ট এর নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে এডাবের পরিচালক একেএম জসিম উদ্দিন এবং আইএসডিই এর নির্বাহী পরিচালক নাজের আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
দাবীসমূহ হলো: আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এনজিও ব্যুরোতে জমা দেয়া প্রতিটি রোহিঙ্গা ত্রাণ কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রকল্পসমূহের অনুমোদন প্রদান। এই অনুমোদন অবশ্যই কক্সবাজার জেলা প্রশাসক থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ি হতে হবে। যেই সময়সমূহ নস্ট হয়েছে তা নতুন অনুমোদনে কাউন্ট করতে হবে।এছাড়াও জরুরী এই ত্রাণ কার্যক্রমসমূহের সময়সীমা ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ১২ মাসে উন্নীত করতে হবে ব্যুরোতে একজন পূর্ণাঙ্গ মহাপরিচালক নিয়োগ দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।