পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের পৃথক পৃথক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও স্বাধীনতা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে উলামায়ে কেরামের ভূমিকাকে মূল্যায়ণ করা হচ্ছে না। তারা বলেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অশুভ শক্তির মোকাবেলা করতে হবে শক্ত হাতে। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন : বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আল্লাহ পাকের বড় নেয়ামত। হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ: বলেছিলেন “৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিলো জালেমের বিরুদ্ধে মাজলুমের লড়াই”। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান ছিলো মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীসসহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরামের। কিন্তু দেশ বিজয়ে ওলামায়ে কেরামের অবদানকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদেরকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অশুভ শক্তির মোকাবেলা করতে হবে শক্তভাবে।
খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ৭১ এর শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরণে দলের কেন্দ্রীয় দফতরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাঈদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সুলতান মুহিউদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ বাশার, মাওলানা আশরাফুজ্জামান পাহারপুরী ও মাওলানা শফিক সাদী প্রমুখ। মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ:, হযরত পীরজি হুজুর রহ: এবং মুফতি দ্বীন মোহাম্মাদ রহ: সহ অসংখ্য ওলামায়ে কেরামের দোয়াও ছিলো দেশ বিজয়ের অন্যতম হাতিয়ার।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ছিলো জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। এ আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের অবদানকে ইতিহাসে স্থান দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছি না। প্রকৃত স্বাধীনতা পেতে হলে খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। গতকাল সকালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়াখালী চৌমুহনী পৌর শাখার উদ্যোগে চৌমুহনী রাজমহল রেস্টুরেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা সভাপতি মাওলানা খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আমির হোসাইনের পরিচালনায় এত বক্তব্য রাখেন যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, কেন্দ্রীয় অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা ফয়সাল আহমদ, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা আবু ইউসূফ মুহাম্মদ নাসির, হাফেজ সালাহ উদ্দীন, ফেফাজতে ইসলাম নোয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম মামুন, মাওলানা মোশাররফ হুসাইন, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা আব্দুর রহীম শাকের জেলা যুব মজলিস সভাপতি মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা মুনির হোসাইন, মাওলানা আব্দুর রহীম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।