পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিয়ে ভারতে হরহামেশাই ঘটছে। মুম্বাই সিনেমার অনেক নায়ক নায়িকা হিন্দু-মুসলিমকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আরএসএসের কট্ট্ররহিন্দুত্ববাদীরা এ ধরণের ঘটনায় মুসলিমদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। এমনকি খুনের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি এক মুসলিম ছেলেকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর সারাভারত জুড়ে তোলপাড় হয়। এ ধরণের পৈচাষিক ঘটনা রোধে এগিয়ে এসেছে রাজস্থান হাইকোট।
এখন থেকে ভারতে ভিন্ন ধর্মের (হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান) ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে করতে গেলে নিতে হবে জেলা শাসকের অনুমতি। লাভ জিহাদে ‘রাশ টানতে’ নয়া এই নির্দেশিকা দিয়েছে রাজস্থান হাইকোর্ট। খবর কোলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আনন্দবাজার। উল্লেখ ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি মনে করছে মুসলিম পুরুষরা হিন্দু নারীদের ফুসলিয়ে ফুসলিয়ে (মূলত প্রেম ঘটিত) তাদের বিয়ে করে হিন্দু থেকে মুসলমান হিসাবে ধর্মাস্তরিত করে। নারী স্বাধীনতা হরণ করে মেয়েদের বোরখার মধ্যে আবদ্ধ করে। এটা ঠেকাতেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতারা হিন্দু নারীদের বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা ঠেকাতে ‘লাভ জেহাদ’ ঘোষণা করে। পশ্চিম বঙ্গের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দ বাজারে গতকাল এই খবরে বলা হয় সপ্তাহখানেক আগে লভ জিহাদের অভিযোগ তুলে রাজস্থানে মোঃ আফরাজুল নামে পশ্চিমবঙ্গের এক যুবককে জ্যান্ত কুপিয়ে এবং পুড়িয়ে হত্যা করে শম্ভুলাল রেগার নামে এক উগ্র হিন্দু ব্যক্তি। নির্মমভাবে খুনের সেই দৃশ্য ভিডিওয় দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা ভারত। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার লভ জিহাদ নিয়ে অন্য এক মামলার শুনানিতে এই নির্দেশিকা ঘোষণা করেন রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি জিকে ব্যাস।
খবরে বলা হয়, চিরাগ সিঙ্গভি নামে এক ব্যক্তি রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁর বোন পায়েলকে মগজধোলাই করে ধর্মান্তরিত করিয়ে এক মুসলিম যুবক বিয়ে করেছেন। তাঁর বোন পায়েলের নতুন নামকরণ হয়েছে আরিফা। এর পর গত ২৮ নভেম্বর রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি জিকে ব্যাস এবং বিনীত মাথুর এক নিরপেক্ষ অফিসারকে রাজ্যে ধর্মান্তরণ করিয়ে বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। ওই অফিসারের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরেই রাজ্যে ধর্মান্তরণের পর বিয়ের জন্য একটি ১০ পয়েন্টের গাইডলাইন দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট।
নির্দেশনায় বলা রয়েছে, যে বা যাঁরা ধর্মান্তকরণ করাতে ইচ্ছুক তাঁদের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে জেলা শাসককে জানাতে হবে। জেলা শাসকের নির্দেশ মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে। সব কিছু খতিয়ে দেখবেন জেলা শাসক। যদি দেখা যায়, বলপূর্বক বা মগজধোলাই করা হয়নি এবং ওই মহিলা বা পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন; তবেই একমাত্র জেলা শাসক ধর্মান্তরণের অনুমতি দেবেন। আর আইনত ধর্মান্তরণের এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে বিয়েটা সেরে ফেলতে হবে। কেউ যদি হাইকোর্টের এই গাইডলাইন না মেনে ধর্মান্তরণ করান এবং বিয়ে করেন, তা হলে তার বিয়ে আইনত স্বীকৃতি পাবে না। গাইডলাইন না মানার শাস্তি পাবেন ওই ব্যক্তি এবং কোনও সংস্থা এর জন্য দায়ী থাকলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ব্যাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।