রাজধানীর মহাখালীর আরজতপাড়ায় নিজ বাসায় জবাই করে মিলু মীলগেট গোমেজ (৬৫) নামে বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনার স্বামী হিউবার্ড অনিল গোমেজ (৭০)কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। গতকাল পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। কে বা কারা কী উদ্দেশে ওই বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তা রহস্যের অন্তরালেই রয়ে গেছে।
হত্যাকান্ডের সময় নিহতের স্বামী ঘটনাস্থলেই ছিলেন। তাকে ও গৃহকর্মীকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, বাইরে থেকে এসে কেউ তাকে হত্যা করেছে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নিহতের স্বামীও হত্যার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি খুব অসুস্থ, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করেন। ওষুধের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে তিনিই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিল গোমেজের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সকালে চার/পাঁচজন মুখোশধারী যুবক দরজায় নক করে। দরজা খুলতেই তারা বাসার ভিতরে প্রবেশ করে মিলু গোমেজকে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে মুখোশধারীরা অনিল গোমেজকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। তেজগাঁও থানার ওসি তদন্ত সেন্টু মিয়া জানান, কে বা কারা, কী উদ্দেশে হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে জানার চেষ্টা চলছে। নিহতের স্বামী অনিল গোমেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এখন পর্যন্ত অনিলের কাছ থেকে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন মহাখালী আরজতপাড়া এলাকার ৩৮ নম্বর নিজ বাড়ির তৃতীয় তলা থেকে মিলু মীলগেট গোমেজের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিলু মীলগেট গোমেজ ও তার স্বামী হিউবার্ড অনিল গোমেজ এ বাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের চার ছেলের মধ্যে স্টালিন গোমেজ, রবার্ড ক্লাইভ গোমেজ ও লিংকন গোমেজ স্ত্রীসহ কানাডাতে বসবাস করেন। ছোট ছেলে মোজেস গোমেজ থাকেন আমেরিকায়। ঘটনার পর তাদের পাসপোর্ট ও ভ্রমণ সংক্রান্ত জরুরি জিনিসপত্র খোয়া গেছে বলেও অভিযোগ নিহতের পরিবারের। সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে মিলু মীলগেট গোমেজকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলার বাম পাশে কানের নিচে ধারালো চাকুর আঘাত দেখা গেছে। জখমের দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৫ ইঞ্চি। ডান হাতের কব্জির উপরিভাগে আঘাতের চিহ্ন এবং বাম হাতে রক্তের দাগ রয়েছে।