পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ল²ীপুরে শিক্ষার নামে চলছে বাণিজ্য ¤øান হচ্ছে সরকারের ভাবমর্যাদা
এস এম বাবুল (বাবর), ল²ীপুর থেকে : ল²ীপুরে সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার নামে চলছে বানিজ্য। ভর্তি, সেশন, উন্নয়ন, কোচিং, পরীক্ষার ফি এবং রেজীষ্ট্রেশন, কেন্দ্র ও বোর্ড পরীক্ষায় নির্ধারিত ফি অতিরিক্ত হারে যে যার মত করে আদায় করছে। এসব অনিয়ম বন্ধে সরকারী কিংবা এমপিভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের কিছুটা নজরদারী থাকলেও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই বলে অভিভাবকরা জানায়।
২০১৭ সালে সদ্য সমাপ্ত পিএসসি-ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত কেন্দ্র ফি ৬০টাকার স্থলে ১০০টাকা থেকে ২৫০টাকা এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায়র্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত কেন্দ্র ফি ১০০টাকার স্থলে ৩০০টাকা থেকে ৫০০টাকা পর্যন্ত আদায় করে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে। একই ভাবে এসএসসি-দাখিল পরীক্ষার্থীদের কাছ ফরম পুরনের সময় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
কমিশনের বিনিময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নোট ও গাইড পাঠ্য করে শিক্ষার নামে বানিজ্য চালিয়ে আসছে দেশ গড়ার কারিগর খ্যাত শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অনুপ্রেরনায় কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের একাধিক প্রকাশনীর নোট ও গাইড কিনতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেদের অফিস থেকেই শিক্ষার্থীদের কাছে নোট ও গাইড বিক্রি করে থাকেন।
১লা জানুয়ারী বই উৎসব পালনের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় ল²ীপুর জেলার সকল মাদ্রাসা ও স্কুলের প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনীর প্রায় চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে বই বিতরন করা হবে। শিক্ষকদের গাইড বানিজ্যের কারনে বিনা মূল্যে বই বিতরনের মহৎ উদ্দেশ্য ¤øান হয়ে সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, বছরের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত জেলার শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষ-লক্ষ টাকা অনৈতিক কমিশন বানিজ্য চলে। যে প্রকাশনী বেশি টাকা দিবে সে প্রকাশনীর নোট পাঠ্য করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
নোট, গাইড, ইংরেজী গ্রামার, বাংলা ব্যাকরন, মডেলটেস্ট, সাজেসন ইত্যাদি নামে বাজারে সরবরাহ নির্ধারীত প্রকাশনীর বই সন্তানদের আকুতি-মিনতিতে অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছে অভিভাবকরা।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রকাশনীর কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত কমিশন নেওয়া হয়। প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কমিশনের বিষয়টি চুড়ান্ত করেন। কোন কোন উপজেলায় শিক্ষক সংগঠনের নেতারা প্রকাশনীর সাথে কমিশনের বিষয়টি চুড়ান্ত করে থাকেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রকাশনীর মাঠ পর্যায়ের কয়েক জন প্রতিনিধি জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রকাশনীর নোট, গাইড, ইংরেজী গ্রামার, বাংলা ব্যাকরন, মডেলটেস্ট, সাজেসন পাঠ্য করানোই তাদের কাজ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিশন না দিলে অনেক কম মূল্যে এধরনের বই বাজারে সরবরহা করা সম্ভব হতো বলে তারা জানায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক কমিশন বানিজ্যের কথা স্বীকার করে বলেন, পাঠ্য সহায়ক বইয়ের বিনিময়ে প্রাপ্ত টাকা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ক কাজে খরচ করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেষ্ট শিক্ষক থাকে তাদের বেতন দিতে হয়, সামান্য কিছু থাকলে কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে ভাগ-ভাটোয়ারা করা হয়। কেন্দ্র ফি’র নামে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা পরীক্ষার দায়িত্ব পালন কারী শিক্ষক থেকে শুরু করে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন কারি পুলিশ সদস্য, কেন্দ্র পরিদর্শক, শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় সহ অনেককেই প্রত্যেকটি কেন্দ্র থেকে একটা শুভেচ্ছা খাম দেওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে খরছ হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরিৎ কুমার চাকমা ইনকিলাবকে বলেন, ২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারী জেলায় স্কুল ও মাদরাসায় ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থীদের মাধ্যে বিনামূল্যে সরকারী বই বিতরন করার সব প্রস্তুুত সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারী পাঠ্য বইয়ের বাহিরে শিক্ষার্থীদের অন্য বই পাঠ করানোর কোন প্রয়োজন নেই। সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কমিশন বানিজ্যের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড কিনতে বাধ্যকরলে সং¯িøষ্টরা প্রতিষ্ঠানের বিরিুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও অন্যান্ন ফি আদায়ের বিষয়ে কঠোর মরিটরিং করা হবে বলেও তিনি জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।