পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো. হায়দার আলী, গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে : টমেটো উৎপাদনের জন্য লালস্বর্ণের উপজেলা খ্যাত রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শ শ টমেটো চাষী স্বালম্বী হচ্ছেন। জমি থেকে নতুন টমেটো উঠতে শুরু করায় কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। এবার ব্যতিক্রমধর্মী পদ্ধতিতে খঁচি দিয়ে (মাচান করে) টমেটো চাষ করায় কৃষকেরা বেশী লাভবান হচ্ছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি মৌসুমে গোদাগাড়ী পৌরসভাসহ গোদাগাড়ীর মাটিকাটা, চর আষাড়িয়াদহ, গোগ্রাম, মোহনপুর, দেওপাড়া ও রিশিকুল ইউনিয়নে হাইব্রীড জাতের শীতকালীন টমেটোর চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার আয়াতন ১৮৪ দশমিক ৮৭ বর্গমাইল। আবাদি জমির পরিমান ৩৫ লাখ ৭শ হেক্টর, বকের সংখ্যা ২৭ টি, মৌজার সংখ্যা ৩শ ৯৪ টি, লোক সংখ্যা ২লাখ ৯৭ হাজার (প্রায়)। গত বছর গোদাগাড়ীতে টমেটো আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। এবছর ৩ হাজার ৪শ ২০ হেক্টর জমিতে টমাটো চাষ করা হয়েছে, এদের মধ্যে সালামত, বঙ্গবীর, ভিএলÑ৬৪২, ইউএসÑনসীব, সুফল, বিজলী, রকি, লাভলী, বিপল, মন্টু, মন্টু সুপার জাতটি উল্লেখযোগ্য।
টমেটোর জমিতে গাছ, ফুল, ফল ভাল থাকায় চাষীরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। নতুন টমেটো প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে ১৪শ থেকে ১৭শ টাকায়। ঢাকা, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, চিটাগ্যাং প্রভূতি একাকার টমেটো ব্যবসায়ীরা গোদাগাড়ী উপজেলা এসে টমেটো ক্রয় করে বস্তা, কার্টুন, ঝুটিতে সাজিয়ে ট্রাকে বোঝায় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর মৌসুমে কৃষকেরা টমেটোর দাম ভালই পেয়ে থাকেন। গোদাগাড়ী উপজেলা টমেটো চাষী শামিম রেজা বলেন, ৭বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি প্রথম পালিতে ৩০মন টমেটো উঠেছে, প্রতি মন টমেটো বিক্রি করেছি ১৭শ টাকা দরে। ৭ দিন পর টমেটো জমি থেকে আবার উঠনো হবে ৭০মন থেকে ৮০ মন টমেটো পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিশালবাড়ী মহল্লার বিশিষ্ট টমেটো চাষী সুমন আলী বলেন, সাংবাদিক ভাই ২০ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি হরতাল অবরোধের কারণে ২বছর লাভের মুখ দেখতে পাইনি। এবার সে সবের বালাই না থাকায় খরচ বাদ দিয়ে ৪লাখ টাকা লাভবান হব বলে আশা করচ্ছি। উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরীপুর বøকের দায়িত্বে নিয়োজিত উপÑসহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার এ প্রতিবেদককে জানান আমার ক্লকে ৭ হেক্টর জমিতে খঁচি দিয়ে টমেটো চাষ করা হয়েছে। এভাবে চাষ করার কারণে কৃষকেরা গাছে পাঁকা টমেটো পাবে, ফলন বেশী হবে, অনেক দিন ধরে টমেটো পাওয়া যাবে।
হরমোন ছাড়াই টমেটো পাঁকে বলে টমেটো দাম বেশী পাওয়া যায়।
ফলে এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষে বেশী আগ্রহ হচ্ছে। মাটিকাটা ইউনিয়নের বিদিরপুর বøকে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো: আশরাফুল ইসলাম জানান, কৃষক মফিজুদ্দিন বাবু ৬ বিঘা জমিতে মাচায় টমেটো চাষ করেছেন প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫০ - ৩৮০ মন টমেটো পেতে পারেন কৃষকেরা। কোন প্রকার হরমোন ছাড়াই পাঁকে বলে এ সব টমেটো মানুষের স্বাস্থের জন্য উপকারী এবং পুষ্ঠিমান ঠিক থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।