Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে এবার চালের উৎপাদন ৫৯ লাখ টন কম হবে!

| প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চালের মূল্য উর্ধ্বমুখীর মধ্যেই জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি বছর দেশে তিন দফা বন্যার কারণে ধানের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হারে কমবে। ধানের উৎপাদন কমের আশঙ্কায় উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যেখানে ৫ কোটি ৮০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছিল; সেখানে ২০১৭ সালে তা ৫ কোটি ২১ লাখ টনে নেমে আসবে। এ হিসেবে এ বছর ধানের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় কমবে ৩ শতাংশ। চালের মূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে চালের আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এছাড়া আটা ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের দামও বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিশ্বের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে এফএও স¤প্রতি প্রকাশিত মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয় চলতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খরার কারণে বিশ্বে বাংলাদেশসহ ৩৭টি দেশে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
তবে সংস্থাটি বলছে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে, দামও কমেছে। বিশেষ করে চাল-গম বা দানাদার খাবারের দাম কমতির দিকে। তবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের আটটি দেশের বাজারে প্রধান খাদ্য চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে।
বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন নিয়ে এফএওর এই উদ্বেগ নিয়ে জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা বলেন, কয়েক দফা বন্যা ও হাওরে বিপর্যয়ের কারণে চলতি বছর ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি অতি বৃষ্টির কারণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। খাদ্যের চাহিদা মেটাতে দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া ঘাটতি নিরূপণের মাধ্যমে আগ থেকে পরিকল্পনার করে আমদানি বাড়াতে হবে।
এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে কয়েক দফা বন্যায় ধানের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বন্যা ও হাওরাঞ্চল ডুবে যাওয়ায় দেশটির অধিকাংশ জেলায় ফসলহানি হয়েছে। ফলে প্রধান দুই জাতের ধান বোরো এবং আমন উৎপাদন কমেছে। দেশের মোট উৎপাদনের ৯০ শতাংশ আসে এ দুটি ধানের জাতের মাধ্যমে। বোরো মৌসুমে বন্যার পর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর মূলত গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত টানা চালের দাম বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ সরকার চালের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েক দফায় চালের আমদানী শুল্ক কমিয়ে দেয়। এতে বেসরকারি খাতে চালের আমদানি কিছুটা বেড়ে গিয়ে দাম কমতে থাকে। এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয় আগামী বছর বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন ক্ষতি পুষিয়ে যাবে। গত বছর সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ১৮ লাখ টন চাল উৎপাদিত হলেও এ বছর তা ৫০ কোটি ৮ লাখে নেমে আসতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ