পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াংয়ের সব বাসিন্দার ডিএনএ নমুনা, আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করছে চীনা কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্মকর্তারা ১২ থেকে ৬৫ বছরের প্রত্যেক বাসিন্দার চোখের আইরিস স্ক্যান ও রক্তের গ্রæপ পরীক্ষার পর ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছেন। কঠোর কেন্দ্রীয় শাসনে থাকা জিনজিয়াংয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উন্মুক্ত কারাগার সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জিনজিয়াংয়ে ১ কোটি ১০ লাখ উইঘুর বাস করেন। এই অঞ্চলটিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হান স¤প্রদায়ের লোকজন উইঘুরদের ওপর সা¤প্রদায়িক হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, নৃতাত্তি¡ক, ধর্মীয় পরিচয়, মতামত অথবা বাক স্বাধীনতার মতো অন্যান্য সংরক্ষিত অধিকার চর্চার কারণে লোকজনের ওপর নজরদারি চালাতে এসব তথ্য কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করতে পারে।
সরকারি সুবিধার আওতায় মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে রোগীর জ্ঞাতসারে বিষয়টি করা হচ্ছে কিনা তা পরিষ্কার নয়। সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, চলতি বছর ১৭ লাখ লোক এই মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছে।
এক উইঘুর জানিয়েছেন, দাপ্তরিকভাবে এই তথ্য প্রদান স্বেচ্ছামূলক। অবশ্য তিনি বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা তাদেরকে বলেছেন, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে’।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীনের পরিচালক সোফি রিচার্ডসন বলেছন, ‘পুরো একটি জনগোষ্ঠীর ডিএনএসহ বায়োমেট্রিক তথ্য বাধ্যতামূলক সংগ্রহ করা মোটা দাগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতির লঙ্ঘন’।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষের উচিৎ তাদের এই শারীরিক পরীক্ষা প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে সবার ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন নাম রাখা’। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।