Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আকায়েদ উল্লাহর তথ্য অনুসন্ধানে স›দ্বীপের পুলিশ

নিউইয়র্কে গ্রেফতার

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকায় বাস টার্মিনালে আত্মঘাতী বোমা হামলার চেষ্টার সময় গ্রেফতার আকায়েদ উল্লাহর পিতা মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লাহ তিন দশক আগে পিতৃভূমি চট্টগ্রামের স›দ্বীপ ছেড়ে যান। আমেরিকায় যাওয়ার আগপর্যন্ত আকায়েদ উল্লাহও জঙ্গিবাদ কিংবা কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে এসব তথ্য পেয়েছে চট্টগ্রামের পুলিশ। আমেরিকায় আকায়েদ উল্লাহর আটকের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর তার বিষয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নামে চট্টগ্রামের পুলিশ।
আকায়েদের চাচাতো ভাই এমদাদ উল্লাহর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আকায়েদ উল্লাহর পিতা মরহুম মোঃ সানাউল্লাহ একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের স›দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের ভুটান তালুকদার বাড়ি। প্রায় তিন দশক আগে তার পিতা স›দ্বীপ ছেড়ে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যান। এরপর ২০১১ সালে তারা সপরিবারে আমেরিকা চলে যান। দুই বছর আগে সানাউল্লাহ ইন্তেকাল করেন। আকায়েদের স্ত্রী এখনো হাজারীবাগে থাকেন। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশে আমরা তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করি। এখন পর্যন্ত আকায়েদ কিংবা তাদের পরিবার সম্পর্কে নেতিবাচক কোনো তথ্য আমরা পাইনি। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আকায়েদ কিংবা তার পারিবারের কোনো সদস্য উগ্রপন্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এমন কোনো তথ্যও কেউ দেননি। আকায়েদের পিতা বরং একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২৭ বছর আগে সানাউল্লাহ পরিবার নিয়ে হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকায় চলে যান। সেখানে স›দ্বীপ কলোনিতে তারা থাকতেন। সানাউল্লাহর একটি ছোট দোকান ছিল। স›দ্বীপের মুছাপুরে বোরহান উদ্দিন তালুকদার নামে সানাউল্লাহর প্রায় ৭৫ বছর বয়সী এক বড় ভাই থাকেন। কিন্তু বোরহান উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নেই বলেও জানান এসপি।
আকায়েদের চাচাতো ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, আমেরিকা যাবার পর দুই বছর আগে একবার সে স›দ্বীপে এসেছিল। বাংলাদেশে আসার আগে সে ওমরাহ করেছিল। স›দ্বীপের লোকজন তাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে দেখেছে। কথা কম বলত। তবে তার মধ্যে উগ্র কিছুই দেখেনি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে আকায়েদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য গতকাল স›দ্বীপ যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচ এম মশিউদ্দৌলা রেজা। তিনি থানায় বসে চাচাতো ভাই এমদাদউল্লাহ ও খালু তুফান কোম্পানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এছাড়া আকায়েদের গ্রামে গিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রতিবেশিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, আকায়েদ দুই বছর আগে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেন। তার শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরে। তার স্ত্রী ঢাকায় হাজারীবাগে থাকেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। বিষয়টি পুলিশ সদর দফতরকে জানানো হয়েছে।
আকায়েদের পরিবার গ্রাম থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন। সে অর্থে তাদের কোনো বাড়িভিটাও নেই। আকায়েদ দেশে এসে বিয়ে করলেও তার চাচা, চাচাতো ভাইবোন কাউকেই বলেনি। দেশে থাকতে কোনো ধরনের উগ্রপন্থায় তিনি জড়িত ছিল না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ফেসবুক কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে তিনি উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েছে বলে তার স্বজনরা ধারণা করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ