পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টঙ্গীতে প্রবাসী দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাইতুল রহমান জামে মসজিদের পাশে এ হত্যাকান্ড ঘটে। নিহতরা হলেন, দত্তপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে দুবাই প্রবাসী আক্তার হোসেন (৩০) ও তার চাচাতো ভাই ইতালি প্রবাসী আসিফুর রহমান মীম (২৮)। ঘটনার পর থেকে স্বজনদের আহাজারি ও কান্নায় এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে দুই ভাই বাড়ি থেকে বের হন ঘুরতে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা দত্তপাড়ার বায়তুল রহমান জামে মসজিদের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে টঙ্গী থানার পুলিশ, গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের কয়েকটি দল। তবে কে বা কারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ কিংবা পরিবারের কেউ।
নিহতদের চাচা মাসুদ রানা জানান, আক্তার হোসেন দেড় বছর আগে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। আর ইতালি প্রবাসী আসিফুর রহমান মীম দেশে ফেরেন আট মাস আগে।
নিহতদের চাচা মাসুদ রানা বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার দোকানে বসে বিপিএলের ঢাকা-রংপুরের ফাইনাল খেলা দেখছিলাম। এ সময় কয়েকজন মহিলা এসে জানান বাইতুল রহমান জামে মসজিদের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুজন যুবককে কুপিয়ে ফেলে রেখে গেছে। খবর শুনে আমরা সেখানে ছূটে গিয়ে দেখি আমার দুই ভাতিজা রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।’
টঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতদের সাথে কারো পূর্ববিরোধ ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।