পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ক্ষমতাসীন জোট ১৪ দলের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দল আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মাঠে নেমেছে। আবারও নির্বাচনকে বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াতকে মাঠে দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। এসময় মন্ত্রীসভার আকার ছোট থাকবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে যারা বিতর্ক সৃষ্টি করছে তারা আসলে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার দুরভিসন্ধি করছে। এই নির্বাচনকে ভন্ডুল করার নেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় তারা দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা করবে। এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নির্বাচন। ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
জিয়া পরিবারের বিদেশে পাচার করা অর্থের বিষয়ে নাসিম বলেন, দুর্নীতির মহাকাব্য হাওয়া ভবন তৈরি করেছে। জিয়া পরিবার সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে সম্পদ পাচার করেছে তা জনগণকে জানাতে হবে। শুধু তাই নয় এ সম্পদ তারা কিভাবে পাচার করেছে সেটাও জনগণকে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া আদালতে ন্যায় বিচারের কথা বলে ন্যায় বিচারকেই বাধাগ্রস্ত করছেন। তিনি আদালতে দেয়া তার বক্তব্যের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীদের উৎসাহিত করছেন বলে নাসিম উল্লেখ করেন।
নাসিম বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) আজ ন্যায় বিচারের কথা বলেন, ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি যেদিন একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিলেন সেদিন কোথায় ছিল ন্যায় বিচার? তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য ন্যায়বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ভুলণ্ঠিত করা।
১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, এবারের নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি বানানো নয়, জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার নির্বাচন। বাঙালি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে লক্ষ্য অর্জন করেছে। সে লক্ষ্যকে ধরে রাখার নির্বাচন। এই নির্বাচনকে জনগণ ভুল করতে পারে না। ১৪ দলকে চোখের মনির মতো ঐক্যবদ্ধ রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো। আগামী নির্বাচনে বিজয়ে জন্য কাজ করে যাবো।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি হলো জঙ্গি ও খুনিদের আস্তানা। তার প্রধান হলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে পাচার করা সম্পদ এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার বিষয়টি তদন্ত করে জনগণকে জানানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মাহবুবুল হকের মৃত্যুতে শোক জানানো হয়। এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা হয়।
এ সময় জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়য়া, জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, জাসদ একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।