পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডেও ভোট সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা দেখছে না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
গতকাল রোরবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের জানান, এই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আইনি কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ ১৮টি ওয়ার্ডে নির্বাচন করার জন্য ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ইসিকে অনুরোধ করেছে। এখানে নির্বাচন করতে বাধা নেই। ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক ৩০ নভেম্বর রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দ্য ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুতে ঢাকা উত্তরের মেয়রের পদটি শূন্য হয়।
দায়িত্বে গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা
এদিকে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। গতকাল নির্বাচন ভবনে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে এক সভায় সিইসি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। যখন আমরা কোনো দায়িত্ব পালন করি তখন আর আমাদের কোনো পক্ষ থাকে না। আমাদের হাতে যে আইন আছে, সেই আইনে প্রত্যেকের দায়িত্ব নির্ধারিত। সেই নির্ধারিত দায়িত্বের ব্যত্যয় যদি কেউ করে তাহলে আমরা আইনের মাধ্যমেই তার ব্যবস্থা নেবো। কমিশন এ ব্যাপারে এতটুকু আপোষ করবে না। সিইসি বলেন, নির্বাচন অবাধ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর। এর বাইরে কোনো কিছু নেই। একজন ভোটার ভোট দিতে যেতে পারবেন। কোনো বাধার সম্মুখীন হবেন না। যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিতে পারবেন এবং ভোট দিয়ে সে আবার নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। এর মধ্যে সে কোথাও বাধার সম্মুখীন হবেন না। আমাদের লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া। নির্বাচনে আপনাদের যে ভ‚মিকা তার সফল বাস্তবায়ন হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পর্কে নূরুল হুদা বলেন, কেন্দ্রে কোনো রকম ঝামেলা হবে না। কোনো রকমের হাঙ্গামা হবে না। ভোট দিতে কাউকে বাধা দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা বলতে আমাদের কর্মকান্ডগুলো পরিষ্কার করা, দৃশ্যমান করা। আমাদের কোনো কাজ গোপন নয়। গোপন শুধু গোপন ভোটকক্ষে গিয়ে ভোটারদের ভোট দেয়া। কোনো বাধা ছাড়াই ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এরপর নিরাপদে বাসায় যাবেন এটা নিশ্চিত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।