Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়ার অর্থপাচারের তথ্য কাল্পনিক মওদুদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবার বিদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচারের বিষয়টি প্রমাণ করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ। গতকাল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ২৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবী করেন। তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। আমি বলব যদি বিদেশে অর্থ পাচার প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। খালেদা জিয়া সম্পর্কে মিথ্যা কাল্পনিক তথ্য প্রচার করে দেশের সংকটের দিকে থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর অপচেষ্টা চলছে। ১২শ কোটি ডলারের কথা এত দিন বলেননি কেন? বাংলাদেশের মানুষ এ ধরনের কথা বিশ্বাস করে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদুদ বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়। সরকার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সরকার উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু গণতন্ত্রের কথা বলে না। গণতন্ত্রের কথার নামে একতন্ত্রের কথা বলে। অন্য দল বা অন্য শ্রেণীর মানুষের কথা সরকার বলে না। উন্নয়নের পূর্বশর্ত সুশাসন। সংসদে, বিচার বিভাগে কোথাও সুশাসন নেই। এ সরকারের ব্যর্থতা হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারা।
সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রসঙ্গ টেনে মওদুদ বলেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে চাপের মুখে সরে যেতে হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন বলে এভাবে তাঁকে সরে যেতে হয়েছে। অথচ সরকার বলে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান বিচারপতিরা ভয়ভীতি নিয়ে বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। রায় দিলে তাঁদের পরিণতি প্রধান বিচারপতির মতো হয় কি না, তা নিয়ে তাঁরা শঙ্কিত।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানও আতাউর রহমান খানকে নেতা বলে শ্রদ্ধা করতেন। তিনি ছিলেন সর্ব দলীয় নেতা। বিএনপির চেয়ারপারসন কাউন্সিলের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, বাংলাদেশে আজ আমরা রাজনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ। আজকের এমন পরিস্থিতিতে আতাউর রহমান খানের নেতা প্রয়োজন ছিল। কারণ ১৯৭৩ সালে তিনি নিজের ভোটের বাক্স দখলকে ব্যর্থ করে দিয়েছিলেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মোঃ সালাউদ্দিন, সাংবাদিক আমানউল্লাহ কবির, ইব্রাহিম রহমান, মতিউর রহমান প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ