পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ৮৩ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুতের আওতায়। পর্যায়ক্রমে সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশে এখন ১৬ হাজার ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আজকে ১০ উপজেলাকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হলো। এর মধ্য দিয়ে দেশ আরো একধাপ এগিয়ে গেলো।
আজ রবিবার সকালে গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ১০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহি চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সৌদি আরব ও কুয়েতের রাষ্ট্রদূত এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
যে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন হয়েছে সেগুলো হলো- শিকলবাহা ২২৫ মেগাওয়াট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট, সাল্লা ৪০০ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ এবং সরিষাবাড়ি তিন মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
যে ১০টি এলাকা ইতোমধ্যে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনা হয়েছে সেগুলো হলো- ফরিদপুর সদর, মাদারীপুরের রাজৈর, নওগাঁ সদর, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, মাগুরার শালিখা, মেহেরপুর সদর, নেত্রকোনার মদন এবং নরসিংদীর বেলাবো।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরে খুশি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, এটা বঙ্গবন্ধুর অন্যতম স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেখলাম বিদ্যুতের রিজার্ভের পরিমাণ ১৫/১৬শ মেগাওয়াট মাত্র। তখন রাজধানীর অনেক এলাকাও ছিল অন্ধকারে। আমরা ক্ষমতায় এসে বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সুযোগ করে দিলাম, যাতে রিজার্ভের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেইবার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াট রিজার্ভ রেখে গিয়েছিলাম। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। নয় বছর পর ক্ষমতায় এসে দেখলাম আমাদের রেখে যাওয়া বিদ্যুতের পরিমাণ কমে তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট হয়েছে। বিএনপি সরকার বিদ্যুতের রিজার্ভ বৃদ্ধি তো করেইনি, বরং কমিয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি জানান, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ সময় তিনি দেশটাকে নতুন করে সাজানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাকে সপরিবারে হত্যা করায় সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হয়নি। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আবার স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করে।
শেখ হাসিনা দাবি করেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিল। এই ২৯ বছরে দেশের কোনো উন্নতি হয়নি। জনগণের জীবন থেকে এই দীর্ঘ সময় ঝরে গেছে বলেও মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বিদ্যুৎ নয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো প্রতিটি ক্ষেত্রে এই সময়ে দেশ পিছিয়েছে। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেরা আখের গুছিয়েছে। তারা বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে বিদ্যুৎ। এজন্য তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছে। শুধু শহরে নয়, গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে সরকার। তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎকে বহুমুখী করেছি। সৌরবিদ্যুৎ, পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। আমরা ভারত থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।