পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হলিউড অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের চেহারার আদলে তৈরি রোবট সোফিয়া। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক মেগা ইভেন্ট ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’-এর এবারের আয়োজনের বড় আকর্ষণ এই যন্ত্রমানবী। হলুদ-সাদা জামদানির টপ আর স্কার্ট পরে মঞ্চে এসেছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরনেও ছিল হলুদ শাড়ি। দু’জনের আলাপও হলো (ইংরেজিতে) প্রাণবন্ত। শুরুতেই সম্ভাষণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, হ্যলো সোফিয়া, কেমন আছ। জবাবে সোফিয়া বলল- হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি গর্ব অনুভব করছি। আপনার সাথে আজকের এই সাক্ষাৎ দারুণ ব্যাপার। এই রোবট মেয়ে তাকে চিনলে কী করে- সে কথা জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী। সোফিয়া বলল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, তা সে জানে। শেখ হাসিনাকে যে বিশ্বে এখন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলা হচ্ছে, তার উদ্যোগেই যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে তাও তার জানা। সোফিয়া আরও বললো, প্রধানমন্ত্রীর নাতনির নাম যে তার মতই সোফিয়া- তাও তার অজানা নয়। বিস্মিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় অনুষ্ঠানের অতিথিদের জানালেন, তার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেয়ের নামও সোফিয়া। এরপর সোফিয়াকে তিনি বললেন, তুমি তো আমার এবং আমার ভিশন সম্পর্কে অনেক কিছু জানো। ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে তুমি কী জানো? জবাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদোগ নিয়ে নিজের যান্ত্রিক মস্তিষ্কে সঞ্চিত তথ্য তুলে ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই রোবট। উত্তরে সোফিয়া ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন তুলে ধরে। ই-গভর্নেন্সসহ সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি সম্পর্কে অবগত থাকার বিষয়টিও সোফিয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানায়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যাব চেপে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। গতকাল (বুধবার) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মানুষের আদলে তৈরি রোবট সোফিয়া এভাবেই উৎসুক উপস্থিতিদের বিস্মিত করে একের পর এক প্রশ্ন শুনেন এবং সেই প্রশ্নের জবাব দিতে থাকে। এর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ এবং বাংলাদেশ সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। এছাড়াও এসময় মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সরকারের পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কম্পিউটার খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।