পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দাওয়াতুল হকের ইজতেমায় শরিক হওয়া আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। এতো উলামায়ে কেরামকে একসঙ্গে অন্য কোথাও পাওয়া মুশকিল। এখানে তো শুধু দেশের আলেমই নন বরং বিদেশ থেকে বড় বড় কয়েকজন আলেম আগমণ করেছেন। ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দুইজন বিখ্যাত মুহাদ্দিস এসেছেন। এটা আসলেই খুশির বিষয়। মাওলানা মাহমুদুল হাসান এ দেশের একজন মান্যবর আলেম। তাকে আলেমরা যেমন শ্রদ্ধা করেন আমরাও তেমন শ্রদ্ধা করি। আমরা অনেক জটিল বিষয়ের সমাধান হুজুর থেকে পেয়ে থাকি। তিনি বাংলাদেশের উলামাদের মাঝে শান্তির প্রতীক। শনিবার জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীতে দাওয়াতুল হকের কেন্দ্রীয় আমির মুহিউসসুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দাওয়াতুল হকের ২৩ তম মারকাজি ইজতেমায় শরিক হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলেম ওলামা ও কওমি স্বীকৃতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাখ লাখ কওমি সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যত নিয়ে ভেবেছেন। কওমী শিক্ষার্থীরাও যাতে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা পায় এবং আরো বেশি দেশ জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যেই তিনি আল্লামা শফি হুজুরকে নিয়ে কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সরকার কখনো ইসলাম তথা কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না বলেও জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার উলামায়ে কেরামের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে যথেষ্ট যতœবান। তাবলিগের চলমান সংকট নিরসনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করতে চায় না। সে জন্য আমরা বলেছি, এর সঠিক সমাধান উলামায়ে কেরাম পরামর্শ করেই বের করবেন। আর সে লক্ষ্যে আমরা দেওবন্দ থেকে সিদ্ধান্ত আনার কথা বলেছি।
মসজিদ মাদরাসা এগুলো আল্লাহর স্থাপনা । কেউ চাইলেই মাদরাসা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। আল্লাহ যাকে দীনের খেদমতের জন্য কবুল করেন তিনিই এ কাজ করতে পারেন। আবার কেউ ইচ্ছে করলেই মসজিদ মাদরাসা ভাঙতে পারে না। উলামায়ে কেরামের কাছে বিশেষ আবেদন, আপনারা ইসলাম, মানবতা ও শান্তির বার্তা দেশময় ছড়িয়ে দিন। ইসলামের বদনাম করা ও ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য শত্রæরা মরিয়া হয়ে কাজ করছে। আজ পুরো বিশ্বের মুসলমান ষড়যন্ত্রের শিকার। ওদের ভাষ্য হলো, মুসলিম মানেই হলো সন্ত্রাস! বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম যদি সোচ্চার ভূমিকা রাখেন তাহলে শত্রæর সকল ষড়যন্ত্রই ব্যর্থ হবে। আমাদের কাছে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের উলামা বা মাদরাসার কেউ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত নয়।
সন্ত্রাস মোকাবেলায় উলামায়ে কেরাম যথেষ্ট সমর্থন দিয়েছেন। আমরা রাসুল সা. এর আদর্শ ধারণ করি এবং বেশি বেশি সুন্নতের প্রচার করি তবেই শান্তির সুবাতাস বইবে। আমাদের সরকার যথেষ্ট উদার ও মানবতায় বিশ্বাসী। আমরা যখন দেখলাম নাফ নদীর ওপারে লাখ লাখ মুসলিমের জীবন বিপন্ন। তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, ঘরবাড়ি গ্রামের পর গ্রাম জালিয়ে দেয়া হচ্ছে তখন আমাদের নেত্রী বললেন রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য সীমান্ত খুলে দাও। আমারা মানবতার পাশে দাঁড়াতে চাই। এই কারণে আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি বিশেষ মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। দেশের ভাব মর্যাদা উজ্জল হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যে সরকার যথা সম্ভব চেষ্টা করছে। এ দেশের আলেম সমাজও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশের মুসলমাদের মতো এতো ধর্মপ্রাণ মুসলমান পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। আপনারা ইসলাম দেশ ও মানবতার সেবায় কাজ করুন। ইনশাআল্লাহ, বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিতি পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।