Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্য বরখাস্ত

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ীদের তুলে এনে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাকি সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিবির রমনা জোনের টিমের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী, এক সাব ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসা থেকে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। পরে গাড়িতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ব্যাংকে কত টাকা আছে, কিভাবে ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন, কোত্থেকে এত টাকা আয় হয়, এসব বিষয়ে জানতে চান। পরে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নানা ভয়ভীতি দেখানো হয় তাকে।
এদিকে ব্যবসায়ী বিল্লালে স্ত্রী তার স্বামীকে পেতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিম তাকে নিয়ে গেছে। একপর্যায়ে আমিন নামের এক সোর্সের শরণাপন্ন হন বিল্লালের স্বজনরা। প্রথমে ৫০ লাখ পরে ২০ লাখে দর নামে ডিবি কর্মকর্তাদের। একপর্যায়ে ৮ লাখ টাকা জোগাড় করে আমিনের কাছে দিতে রাজী হন বিল্লালের স্বজনরা।
আমিন ডিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করে টাকা দেয়ার পর বিকেলে তার গাড়ি দিয়ে ডিবি কার্যালয় থেকে আসাদ গেট সংলগ্ন আড়ংয়ের সামনে নামিয়ে দেন বিল্লালকে।
বিল্লাল জানান, ডিবি কার্যালয়ে তাকে কোন শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে মানসিক নির্যাতন করে টাকা দাবি করা হয়। বিল্লাল মগবাজার এলাকায় সিএনজি অটোরিকশার ব্যবসা করেন। এর আগে মগবাজারের সিএনজি ব্যবসায়ী কমল কুমার রায়কে দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবির একটি টিম। পরে ২ লাখ টাকায় মুক্তি মেলে তার। এক্ষেত্রেও ওই আমিন মধ্যস্থতা করেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও মগবাজারের আরও ৫ ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
স¤প্রতি কাউন্সিলর মোক্তার হোসেন মগাবাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন। এসময় মগবাজারের সিএনজি ব্যবসায়ী হাজী আ. রশিদ, হাজী সুলতান উদ্দিন, হাজী বজলুর রহমান, হাজী আওলাদ হোসেন, সুভাস চন্দ্র দাস, কমল কুমার রায়, মনোজ চন্দ্র দাস, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিল্লাল হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আশুতোষ রায়, সুমন হোসেন, দীন ইসলাম, মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এরপর ঘটনার সত্যতা খুঁজতে তদন্তে নামে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্ত শেষে রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী, এক সাব ইন্সপেক্টর ও এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া অভিযুক্ত বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ